শরণখোলায় প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে বাদশা শিকদার নামে এক ব্যক্তিকে হরিণের গোশত দিয়ে এক ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা সামসুল হকসহ ৪/৫ জন বনকর্মী জড়িত রয়েছে। বুধবার দুপুরে শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান শিকদার এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, বনবিভাগের বগী স্টেশনের বনরক্ষী মনিরুজ্জামান সোহাগ ও জনৈক পলাশের সাথে তার ভাই ধান ব্যবসায়ী বাদশা শিকদারের তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে সম্প্রতি বিরোধের সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বাদশাকে ঘায়েল করতে শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা সামছুল হকের যোগসাজসে গত ২৭ মে সন্ধ্যায় বাদশাকে বনকর্মী মনিরুজ্জামান সোহাগ, জাকির হোসেন, শিকদার জিয়াউদ্দিন, ইউসুব হাওলাদার ও আঃ মালেক তার নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে ৮ কেজি হরিণের মাংস হাতে ধরিয়ে দিয়ে দিয়ে তাকে হরিন শিকারী সাজিয়ে কোর্টে প্রেরণ করে। ওই ঘটনায় তদন্ত স্বাপেক্ষে বনবিভাগের জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে ষ্টেশন কর্মকর্তা সামছুল হক ও বনকর্মী মনিরুজ্জামান সোহাগ জানান, বাদশার শিকদারের সাথে বনবিভাগের কারো সাথে কোন বিরোধ রয়েছে বলে তাদের জানা নেই। ঘটনার দিন হরিণের মাংসসহ তাকে সুন্দরবনের তেঁতুলবাড়িয়া এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে তারা দাবী করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন