শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রক্সি হাজিরা দিতে এসে ফেলানী জেল হাজতে

মোহরার বাবলু পলাতক

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৯, ৭:৫৪ পিএম

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুয়া আসামী হাজিরার ঘটনায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১ম শ্রেণীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত)পবন চন্দ্র বর্মন মোছাঃ ফেলানী এবং আইনজীবী সহকারী (মোহরার) মোঃ বজলুর রহমান রেজিঃ নম্বর-২১২ এর বিরুদ্ধে মিসকেস রুজ্জু করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে মিসকেস নং-১/১৯ (রৌ) এর আদেশে ফেলানীকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন এবং পলাতক মোহরার বজলুর রহমান বাবলু’র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরওয়ানা জারি করেন। এ ঘটনায় আদালত পাড়ারায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (২য় আদালত) পবন চন্দ্র বর্মন এর কোর্টে এ ঘটনা ঘটে।
আদালত সুত্রে জানা যায়,রৌমারী থানার জিআর মামলা নং-১০৪/১৯ (রৌ) মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আবু সাইদ, মুরাদ হোসেন, মামুন, মনির, মুন্না এবং মোছাঃ নুরিমা বেগম স্বেচ্ছায় আতœসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন। রাস্ট্রপক্ষের কোট সি এস আই মোঃ শাহীন জামিনের বিরোধীতা করেন। বিজ্ঞ বিচারক মামলার নথি এবং আসামীদের জামিনের আবেদন পর্যালোচনা করে ৫নং আসামী মুন্না ও ৬নং আসামী মোছাঃ নুরিমা বেগমের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সি ডাব্লু মূলে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। অন্যদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় জামিন মঞ্জুর করা হয়। এ আদেশ ঘোষনা করামাত্র আদালতের কাষ্টডিতে থাকা ৬নং আসামী মোছাঃ নুরিমা বেগম উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি শুরু করেন। বিজ্ঞ বিচারক পবন চন্দ্র বর্মন কান্নাকাটির কারণ জানতে চাইলে- সে স্বীকার করে অর্থের লোভে আসামীর প্রক্্ির দিয়েছেন তিনি। তাঁর আসল নাম মোছাঃ ফেলানী। স্বামী মৃত মালেক, সাং-ভোগডাঙ্গা (মাদুপাড়া), থানা ও জেলা কুড়িগ্রাম। আইনজীবী সহকারী মোঃ বজলুর রহমান (বাবলু), পিতা-মোঃ আবু জাফর আলী, সাং-জিগ্নিকান্দি, থানা রৌমারী, জেলা- কুড়িগ্রাম তাকে (ফেলানী) মাত্র ২০০টাকা দিয়ে আদালতের কাষ্টডিতে দাড়াতে বলেন। বলেন-৫/৭মিনিট দাড়ালেই তাঁর কাজ শেষ। কিন্তু বিধিবাম। বিচারক জামিন আবেদন না মঞ্জুর করায় ঐ মোহরার এর জালিয়াতি ফাঁস হয়ে যায়।
জেলা আইজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ রকম জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিচার বিভাগ এটি আমাদের প্রত্যাশা। এ ব্যাপারে আইনজীবী সমিতির পূর্ন সমর্থন থাকবে। একই সাথে আমাদের যা যা করনিয় তা আমরা করব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন