জয়পুরহাটের কালাইয়ে বগার্চাষী মোকাব্বর সিগদারের দেড় বিঘা জমির রোপনকৃত হাই-প্রিড জাতের করলা ক্ষেতে কে-বা কারা আগাছা নাশক বিষ স্প্রে করে নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই বগার্চাষীর সেই দেড় বিঘা জমির ফসল সারা বছরের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলো। বর্তমান ফসল হারানো ওই নিরীহ পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কুশুমশাড়া গ্রামের মরহুম তোমেজ উদ্দিনের ছেলে বগার্চাষী অন্যের বাড়িতে সারা বছরে কাজ করে খেয়ে না খেয়ে যে আয় করেন তা দিয়ে তার গ্রামের অপর এক চাষীর কাছ থেকে দেড় বিঘা জমি বর্গা নেন। সেই জমিতে গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে হাই-ব্রিড জাতের করলার গাছরোপন করেন। সেই রোপরকৃত করলাগুলো ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ মণ করলা বিক্রিও করেন।
এমতাবস্থায় গত বুধবার দুপুরে করলাক্ষেতে গিয়ে তিনি দেখেন কে-বা কারা আগাছা নাশক বিষ ছিটিয়ে তার জমির রোপনকৃত হাই-ব্রিড জাতের করলা ক্ষেত নষ্ট করেছে। বিষ প্রয়োগের ফলে সমস্ত করলা ক্ষেত মরে নষ্ট হয়ে গেছে। করলা ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বগার্চাষী মোকাব্বর সিগদার বলেন, অন্যের কাছ থেকে জমি বর্গা নিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে হাই-ব্রিড জাতের করলার গাছরোপন করেছি। রোপরকৃত করলাগাছগুলো এবং ফলনও ভালো হয়েছিলো। ইতোমধ্যে কিছু করলা বিক্রি করেছি কিন্তু হঠাৎ করেকে-বা কাহারা ও আমার করলাক্ষেত আগাছা নাশক বিষ ছিটিয়ে সব করলাগাছগুলো নষ্ট করে দিয়ে আমার সর্বনাশ করেছে। আমি এখন সর্বস্বান্ত আমি এর বিচার চাই।
কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ খান বলেন, এই বিষয়ে এখনো অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন