স্থানীয় এমপি ও রাজনৈতিক নেতারা যৌথভাবে সরকারের নদী বিষয়ক সব কাজ ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল মতিন। নদী পুনরুদ্ধারে জনসম্পৃক্ত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং নদী রক্ষায় এমপিদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাপা ও ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘সরকারের নদী উদ্ধারে সা¤প্রতিক তৎপরতা : আদি বুড়িগঙ্গা ও সোনাই নদী বাস্তবতা’- শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। নদী উদ্ধার না হলে বাংলাদেশ বাঁচবে না- মন্তব্য করে বাপার সাধারণ সম্পাদক মতিন বলেন, স্থানীয় এমপি ও রাজনৈতিক নেতারা যৌথভাবে সরকারের নদী বিষয়ক সব কাজ ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন অপকর্মও করে যাচ্ছেন। নদী বাঁচাতে স্থানীয় সরকার প্রশাসন ও স্থানীয় এমপিদের কাছে আমাদের অনুরোধ- দয়া করে নদী রক্ষায় সহযোগিতা করুন। সরকারকে সহযোগিতা করুন। যাতে নদীগুলোকে আমরা উদ্ধার করতে পারি
সংবাদ সম্মেলন থেকে দেশের নদীগুলো রক্ষায় কিছু দাবি জানানো হয়, যার মধ্যে রয়েছে- নদী পুনরুদ্ধারে জনসম্পৃক্ত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, দখলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর শাস্তি নিশ্চিত করা, নদীর সীমানা নির্ধারণের সিএস কিংবা আরএসভিত্তিক ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া বন্ধ করা, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা ও শাস্তির মাধ্যমে নদী রক্ষায় সচেষ্ট করা এবং খননের নামে দেশের সকল নদীকে নালা বা খালে পরিণত করার চলমান কর্মকান্ড বন্ধ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত ও শাস্তি নিশ্চিত করা।
বাপার সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওয়াটার কিপারস বাংলাদেশের সমন্বয়কারী ও বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন- বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন মুরশিদ।
পোশাক শ্রমিকদের রেশনিং-বাসস্থান দাবি
স্টাফ রিপোর্টার : চলতি অর্থবছরের বাজেটে পোশাক শ্রমিকদের রেশনিং ও বাসস্থানের জন্য বরাদ্দের দাবিতে সমাবেশ করেছে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক নেতা এবং গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি কাজী রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।
সমাবেশে মন্টু ঘোষ বলেন, গার্মেন্টস পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশে দ্বিতীয়। আমরা এক নম্বর হতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় পোশাক শ্রমিকদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই অবিলম্বে পোশাক শ্রমিকদের রেশনিং এবং বাসস্থানের জন্য বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি। না হলে আমরা পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করবো।
একই সময়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি বাজেটে ক্ষেতমজুর এবং গ্রামীণ মজুদের পল্লি রেশনিংয়ের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন