মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদিগন্ত

পশ্চিমবঙ্গে মমতার বিজয়ে বাংলাদেশের কী যায় আসে

প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ড. ইশা মোহাম্মদ : পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের কারোরই মাথাব্যথার খুব একটা কারণ আছে বলে মনে না। কেননা ভারতকে বাদ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে মাতামাতি করার কী আছে? আসলেই কিছু নেই। যা আছে, তা প্রকৃত অর্থে ‘ভারতে’ আছে। ভারতে এখন বিজেপি সরকার। তারা ধর্মীয় উন্মাদনায় ভরপুর। বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নিজেই এক সময় অহেতুক মুসলিম নিধনের কারণে বিশ্বব্যাপী নিন্দিত ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তার বিশ্বনিন্দা থেমে যায়। তার পৈতৃক ভিটা, গুজরাটে বিশাল বিপুল ইহুদি পুঁজির তেলেসমাতি দেখানোর পরপরই সা¤্রাজ্যবাদী এবং পুঁজিবাদীরা তাকে আলিঙ্গন করতে থাকে। সেই আহ্লাদ এখনও চলছে।
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট গোহারা হেরেছে। বিজেপিসহ অনেক ধর্মান্ধ দল ভারতব্যাপী গো-হত্যা বন্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। পশ্চিমবঙ্গ গো-হত্যা বন্ধ করেনি। পশ্চিমবঙ্গের ধর্ম বিশ্বাসী হিন্দুদেরও ধর্মান্ধ হতেই হবে এমন কোনো কথাও নেই। কিন্তু তারপরও দেখা যায়, তারা গো-হত্যার ব্যাপারে সরাসরি বিরোধিতা করতে চায় না। এটি বিজেপির জন্য একটি সাফল্য। সেক্যুলার একটি রাজ্যে বিজেপি ধর্মীয় স্পর্শকাতরতা নিয়ে রাজনৈতিক বাণিজ্যে সাফল্য পেয়েছে।
কংগ্রেসকে যারা পূর্বে প্রত্যাখ্যান করেছে, তারা আবার কংগ্রেসকেই ভোট দেবে কেন? কংগ্রেস নতুনত্ব কী দেখিয়েছে? বামদের অনেক সমর্থক মনে করেছে, আমরা কংগ্রেসকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করছি, মানে, তারা ‘শ্রেণীচ্যুত’ হয়েছে। তাদের মাকর্সবাদী আদর্শ ত্যাগ করে শোষকদের সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে। এটি অন্য অর্থে আদর্শচ্যুতিও বটে। বামরা হয়তো জানেই না যে, প্রকৃত কোনো উন্নয়ন সাধনে ব্যর্থ হওয়ার পরও এত দীর্ঘ সময় তারা ক্ষমতায় ছিল কেবল আদর্শকে আঁকড়ে ধরার কারণে। সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করেছে, তবুও একটি আদর্শবান রাজনৈতিক দলকে প্রত্যাখ্যান করেনি। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলে? অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে মমতা ব্যানার্জি যখন বাম ধস কাÐ ঘটালেন তখন দেখা গেল বামশত্রæ কংগ্রেস বাহবা দিচ্ছে। সে সময়ে কংগ্রেস মমতার বিপরীতে বামকে সমর্থন দিলে আজকে বিজেপির যে উত্থান ঘটেছে, তা আর ঘটত না। যে বিজেপি পশ্চিমবাংলায় এবং আসামে পাত পেত না, সেই বিজেপি এখন ছড়ি ঘুরাচ্ছে। আসামে তো সরকারই গঠন করে ফেলেছে।
দিল্লিতে কেজরিওয়াল গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। সেখানে কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েই সাধারণ মানুষ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে, পশ্চিমবঙ্গে তথাকথিত গণতান্ত্রিক মমতা ব্যানার্জি পুনর্বার এলেন কী করে? তার সরকারের তো বদনামের সীমা নেই দুর্নীতর কারণে।
তথাকথিত প্রথাগত বিশ্লেষণে মমতার ফিরে আসাকে ব্যাখ্যা করা যাবে না। এই নির্বাচনে অন্যরকম অদৃশ্য শক্তি কাজ করেছে। বামদের আদর্শহীনতা একটা ফ্যাক্টর। কিন্তু ওই কারণে বামরা ফেনায় ভেসে যায়নি। কংগ্রেস ভারতব্যাপী তার পূর্বেকার ভাবমর্যাদা পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে তাদের নেতৃত্বের কারণে। রাহুল গান্ধী দাঁড়াতেই পারছেন না। কংগ্রেস বিকল্পও খুঁজে পাচ্ছে না। আরো বহুদিন কংগ্রেসকে নেতা খুঁজে খুঁজে ঘুরতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গে না ভোট আট লাখ। এরা কাকে ভোট দিত? সাধারণ ঘৃণার কারণে কোনো বিধায়কের পদচ্যুতির বিষয় কি আছে? আট লাখ কাউকে পছন্দ করেনি। তারা কাউকে পছন্দ করলে কি ফলাফলে কোনো পরিবর্তন আসত? তাছাড়া এতগুলো না ভোটের কারণ কী? বাজারে গুজব আছে যে, তোমরা যদি আমাকে ভোট না দাও তবে কাকে দেবে? কিন্তু কে আছে নিষ্কলুষ? তার চেয়েও না ভোট দিও। এ জাতীয় প্রচার করেছে কোনো একটি বিশেষ দল। অনেক টাকা খরচও করেছে তারা। কী উদ্দেশ্য তাদের? আজকাল অনেকেই সারা ভারত নিয়ে ভাবছেন না। তারা ভাবছেন এদিকটা নিয়ে। আসাম ত্রিপুরা মেঘালয় মিজোরাম নিয়ে। সাথে আছে পশ্চিমবঙ্গ। এই এলাকাটা বিজেপি কিংবা মমতার হাতেই থাকবে। ওই অদৃশ্য শক্তি একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে এই মহাপরিকল্পনা করেছে। কী তাদের উদ্দেশ্য, কোন সে শক্তি?
বেশ কিছু দিন যাবৎ বিশ্বব্যাপী রব উঠেছে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বিশ্বমানবতা। সীমিত পারমাণবিক যুদ্ধের এক্সপেরিমেন্ট হতেও পারে। মধ্যপ্রাচ্য যদি বুঝেই ফেলে যে, তাদের সবাইকে একত্রে নিঃশেষ করার জন্য ইহুদিরা ষড়যন্ত্র করেছে, তবে তার বিপরীতে মুসলিমরা বেঁচে থাকার জন্য ঐক্য করতে পারে। তখন মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে ইসরাইল তুচ্ছ হয়ে যাবে। সে সময়ে বাঁচার জন্য তারা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহৃত হলে মুসলমানরাই শুধু মরবে না, ইহুদিরাও মরবে। কিন্তু ইহুদিরা মরতে চায় না। তারা বাঁচতে চায়। কিন্তু বাঁচবে কীভাবে?
পৃথিবীর সব ইহুদিই কি ইসরাইলে বাস করে? তাদের অন্যত্রও স্থান আছে। কিন্তু সেসব স্থান তাদের পৈতৃক ভিটা নয়। সেসব দেশে তারা আশ্রিত। কিন্তু বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে পুঁজি বিনিয়োগ করে যে কোনো স্থানকেও নিজেদের আপন করে নেওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিনের বাম শাসন দরিদ্র মোচন করতে পারেনি। কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটাতেও ব্যর্থ হয়েছে। কেন্দ্রে বসে কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের বামদেরকে কোণঠাসা করে রেখে তাদের উন্নয়নের সকল উদ্যোগই ব্যর্থ করে দিয়েছে। তখন তারা ভেবেছিল, উন্নয়নে ব্যর্থ হওয়ার কারণে জনগণ ক্ষেপে গিয়ে বামদেরকে প্রত্যাখ্যান করে কংগ্রেসের গলায় মালা পরিয়ে দেবে। কিন্তু তাদের ভাবনা আর ঘটনা একরকম ঘটেনি। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাকারীরা কংগ্রেসকে বসতে না দিয়ে মমতাকে গদ্দিনসীন করেছে। এমন কি মমতাকে সারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী করার লোভও দেখানো হয়েছিল বলে রব আছে।
সারা ভারতের উন্নয়ন বিবেচনায় পশ্চিমবাংলা আসাম ত্রিপুরা মেঘালয় মিজোরাম একেবারেই উন্নয়নহীন। সাধারণ মানুষ আগেও গরিব ছিল, এখনও গরিব; সরকারের পরিবর্তন ওইসব এলাকায় উন্নয়ন নির্দেশক হয়নি। কেন্দ্রে কংগ্রেস থাকলে রাজ্য সরকার কংগ্রেস হলে উন্নয়ন হলেও হতে পারে। অদৃশ্য শক্তি তাদের লক্ষ্যিত এলাকায় কংগ্রেসকে হটিয়ে দিয়েছে। লক্ষ্যিত এলাকায় বিজেপি থাকলে তাদের সুবিধা। কেন্দ্রে কংগ্রেস না থাকার কারণে রাজ্যে তারা প্রভাবও বিস্তার করতে পারছে না। অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে তাতে কংগ্রেস যদি কেন্দ্র দখলে ব্যর্থ হয়, তবে অন্য রাজ্যগুলোও তারা হারাবে। আঞ্চলিক দলগুলো প্রাধান্যে যাবে, নতুবা বিজেপি। আঞ্চলিক দলগুলো প্রাধান্যে গেলে অদৃশ্য শক্তির পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে না। কেননা বাম এবং কংগ্রেসই তাদের প্রতিপক্ষ। যে কোনো জাতীয়তাবাদীই তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রতিরক্ষার কাজ করে। কংগ্রেস অবশ্যই জাতীয় শক্তি। পশ্চিমবাংলার বামরাই শুধু নয়, সারা ভারতের বামরাই মূলত জাতীয়তাবাদী। তারা প্রকৃত অর্থে কমিউনিস্ট নয়। যে কারণে ওই অদৃশ্য শক্তি কংগ্রেস এবং বামকে এক সাথে টার্গেট করেছে।
হিমালয়ের অঙ্গ সেভেন সিস্টার। এই সেভেন সিস্টার নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ভারত সেখানকার উত্তেজনা প্রশমনের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। তার মধ্যে একটি বিশেষ পদক্ষেপ হচ্ছে করিডোর। বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে করিডোরগুলো সেভেন সিস্টারেই যাওয়ার পথ। কি বিশাল বড় রকমের বিদ্রোহ ঘটার সম্ভাবনা তারা দেখেছিল সেখানে যে, দ্রæত অস্ত্রপাতি নিয়ে যাওয়ার জন্য করিডোর দরকার পড়ল? সত্যিই কি করিডোর ছাড়া বিদ্রোহ দমন করা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য অসম্ভব ছিল? ভারতের সেনাবাহিনী সম্পর্কে যাদের জ্ঞান আছে, তারা ভালোই জানে যে, যে কোনো বিদ্রোহ দমন করতে তাদের ক্ষণমাত্র সময় লাগবে। কিন্তু তারপরও তারা বাংলাদেশের মানচিত্রে তাদের রেখা অংকন করেছে।
কদিন আগেই মোসাদের সাথে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদদের খায়খাতিরের বিষয়টি জনসমক্ষে এসেছে। যদি কেউ মনে করে যে, বিষয়টি এখনকার সময়ের, তবে তারা বড় ভুল করবে। মোসাদ কাজ করছে মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই। এখন হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করবেন যে ইহুদি ষড়যন্ত্রেই বঙ্গবন্ধু নিহত হয়েছেন। পশ্চিমবাংলায় বিজেপির অধিষ্ঠানও তাদের জন্য লাভজনক ছিল। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি তেমন ছিল না। বাম এবং তৃণমূলের মূল উচ্ছেদ করে বিজেপিকে কোনোমতেই পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন করা যাবে না। তাই তারা যেখানে যেমন সেখানে তেমন পদ্ধতির অনুশীলন করেছে। তবে তাদের লক্ষ্য ছিল তৃণমূল। কেননা তৃণমূলের মমতাকে ধর্মীয় এবং অহেতুক হিংসাপরায়ণরা পছন্দ করে। এ এক আশ্চর্য মনস্তাত্তি¡ক অবস্থা। এ অবস্থা থেকে সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক আন্দোলন ছাড়া পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো উপায় নেই। কিন্তু সেখানকার কংগ্রেস ও আমরা সেই পুরাতন বৃত্তে আবর্তন করছি। কোনো ক্ষেত্রেই অগ্রসর হতে পারছি না। অদৃশ্যশক্তি এ বিষয়গুলো ভালোই বোঝে। তারা গরিবিস্থান বেছে নিয়েছে। এরা প্রতিবাদী বটে, কিন্তু মমস্তাত্তি¡কভাবে খুবই দুর্বল। এরা এতই অভাবী যে একদিনের মজুরির বিনিময়ে নীতি-আদর্শ বিক্রি করে অর্থলগ্নিকারীকে ভোট দেয়। যে পরিমাণ টাকা তারা ব্যয় করেছে তা দিয়ে গরিবি হটিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু অসংখ্য কাÐকারখানার পরও তারা ঘৃণিত হয়নি। সম্ভবত এ কারণে যে গরিবরাই ভোটার হিসেবে বেশি এবং তারা ধনীক শ্রেণিকে চোর-ডাকাত মনে করে। তা সে যে দলেরই হোক না কেন। এ কারণেই নানা কাÐকারখানার পরও তারা ভোট দিয়েছে ইচ্ছামতো এবং অবশ্যই অর্থবহ কারণে। এর বিপরীতে বামরা আদর্শহীন হয়ে কংগ্রেসকে সাথে নিয়ে খালি হাতে ভোট প্রার্থনা করেছে এবং তাতে তারা অপাঙ্ক্তেয়ই হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বামরা গণবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে সেই যে গদিচ্যুত হয়েছে তা ফিরে পাবার কোনো আশাই নেই এ কারণে যে, তাদের গণবিচ্ছিন্নতা এবং কৃত্রিম আভিজাতরা বহাল তবিয়তে বজায় আছেন। মনে হয়, তাদের নেতৃত্বের এই প্রজন্ম বিদায় না হলে তারা আর জনগণের মধ্যে ফিরে আসতে পারবে না। কিন্তু যারা জাতীয় বুর্জোয়াদের প্রতিনিধিত্ব করছে তাদের প্রবল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যে কারণে জাতীয় বুর্জোয়াদেরকে বিভক্ত করে একটি বিশেষ শক্তি পশ্চিমবাংলায় বিশাল এক লুম্পেন বুর্জোয়া গোষ্ঠী বানিয়েছে। যারা অলীক স্বর্গে বাস করে এবং নৈতিকতা বিবর্জিত ভোগ্য জীবনযাপন করে। পশ্চিমবাংলার সমাজ ভোগী সমাজ নয়, কিন্তু লুম্পেন বুর্জোয়ারা এটাকে ভোগী সমাজ বানানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। তৃণমূলের মমতার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আরোহণের মধ্য দিয়ে ভোগবাদীদের পথ কুসুমাস্তীর্ণ হয়েছে। পশ্চিমবাংলাতেই শুধু নয়, সারা ভারতেই নতুন ধরনের রাজনীতির অনুশীলন করা না গেলে তাদের অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়াবে এবং ওই অদৃশ্য শক্তি পুরো দেশের নিয়ন্ত্রণভার নিয়ে নিতে পারে।
বাংলাদেশের জন্য কি কোনো বার্তা বহন করে পশ্চিমবাংলার নির্বাচনের ফলাফল? সাথে আবার আসাম আছে। ভাবনার বিষয় হলোÑবাংলার সীমান্ত নয়, অতি ঘনিষ্ঠ তারা। আসামের বন্যার জল গড়িয়ে আসে বাংলাদেশে। পশ্চিমবাংলার রাখালিয়া গান বাংলাদেশের ঘরে বসেই শোনে কৃষাণীরা। সম্পর্ক যখন এরকমই তখন অস্পৃশ্য মনে করার কোনো কারণ নেই। সম্প্রতি বাংলাদেশে যে সমস্ত অঘটন ঘটেছে তার সাথে ওইসব অদৃশ্য শক্তির যোগসূত্র কি খোঁজা সম্ভব? বাংলাদেশে কয়েকটি হত্যার ব্যাপারে আইএসআইয়ের সম্পৃক্ততার বিষয়ে যেসব বার্তা পাওয়া গিয়েছিল সেগুলোর সাথে কোনো কোনো মহল ইহুদিদের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছিল। এখন ইহুদিদের কৌশল পাল্টে গেছে। তারা নিজেরা নিজ হাতে খুন করে খুবই কম। অন্য যে কোনো ভাড়াটে দিয়ে খুনখারাপি করায়। পরিকল্পনায় এবং অর্থ যোগানদার থাকে তারা। অনেক সময় টাকার চুক্তিতে কাজ করিয়ে নিয়ে টাকা না দিয়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাকেই খুন করে টাকার দায় থেকে নিজেকে মুক্ত করে। যেভাবেই হোক না কেন, কাজটা তারা করেই ছাড়ে। পশ্চিমবাংলায় এবং সেভেন সিস্টারে যারা আজ কলকাঠি নাড়ছে তারা কি সেখানেই থেমে থাকবে? মনে হয় না। বরং তারা তাদের অদৃশ্য হাত বিস্তার করতে বাংলাদেশেও হামলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতএব, তার আগেই সরকারের উচিত হবে এদের শনাক্ত করা এবং দেশ ও জাতিকে নিশ্চিৎ বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা করা।
য় লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন