রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

আল্লাহ্র অস্তিত্ব : আধুনিক বিজ্ঞান ও দর্শন তত্ত¡

মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৯, ১২:১০ এএম

এগার

তাঁর অস্তিত্ব কারও উপর নির্ভর করবে না। “সূরা ১১২,; সূরা ৫৭, আয়াত ৩”।
আল্লাহ্র অবশ্যই এই জগতের উপর আধিপত্য থাকতে হবে, তাঁকে সর্বস্থানে বিদ্যমান থাকতে হবে এবং প্রত্যেক পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয় সম্পর্কে তাঁকে অবশ্যই অবগত থাকতে হবে। “সূরা ৩, আয়াত ১৮৯; সূরা ৮৫, আয়াত ১৬; সূরা ৪, আয়াত ২৬; সূরা ২, আয়াত ১১৫; সূরা ৪, আয়াত ১১”।
তাঁকে অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ বিচক্ষণতা তথা প্রজ্ঞার অধিকারী হতে হবে যাতে তিনি মানুষের সব ধরণের কর্মকাÐ বিশেষ করে নৈতিক কর্মের নির্ভূল পথ প্রদর্শন করতে সক্ষম হন। “সূরা ৪৫, আয়াত ৩৭; সূরা ৭৬, আয়াত ৩০”।
তাকে হতে হবে সকল দোষত্রæটি, দুর্বলতা ও অক্ষমতা থেকে মুক্ত। “সূরা ১২, আয়াত ১০৮; সূরা ৩৭, আয়াত ৮০”।
জীবন ও মৃত্যু থাকবে তাঁরই করায়ত্বে। “সূরা ৭, আয়াত ১৫৮; সূরা ৯, আয়াত ১১৬”।
উপরোক্ত গুণাবলী ছাড়া অসংখ্য গুণাবলী রয়েছে মহান আল্লাহ তা’আলার; যে গুণাবলী মাধ্যমে আল্লাহর প্রকৃতি সম্পর্কে জানা যেতে পারে। কিন্তু এত ছোট পরিসরে সেগুলোর বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া কঠিন। সেই সমস্ত গুণাবলীর নাম, সূরা এবং তৎসংক্রান্ত কিছু কিছু আয়াত নিম্নে উল্লেখ করা হচ্ছে ঃ তিনি এক, তাঁর সমকক্ষ নেই (১২২ ঃ ১); তিনি কারো সন্তান নন এবং তাঁর সন্তানও কেউ নয় (১১২ ঃ ৩); তিনি তওবা কবূলকারী (৯ ঃ ১০৪, ২৪ ঃ ১০, ৪৯ ঃ ১২); তিনি ধৈর্যশীল (১৭ ঃ ৪৪, ২২ ঃ ৫৯); তিনি রিযিক দাতা (৬২ ঃ ১১) শ্রবণকারী (৭ ঃ ২০); গোপন ও প্রকাশ্য সম্পর্কে জ্ঞান (৯ ঃ ৯৪); তিনি প্রবল ক্ষমতাশালী (৮ ঃ ১০); তিনি অনুগ্রহকারী (২৫ ঃ ২৮); কেউ তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাই নয় (৮ ঃ ৪৭); প্রতিটি জিনিসের উপর তাঁর জ্ঞান পরিব্যপ্ত (৭ ঃ ৮৯); তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ (২০ ঃ ১১৪); তিনি সর্বজয়ী (৩৫ ঃ ২)
একক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্র ধারণা, একত্ববাদ, প্রকৃতি প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করা হলো। এখন আল্লাহ্র অস্তিত্বের প্রমাণ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। তবে এখানে একটা বিষয় প্রথামেই বলে নেয়া প্রয়োজন আর সেটি হলো, প্রকৃতপক্ষে, স্থানÑকালে কোন জাগতিক বস্তুকে যেভাবে প্রমাণ করা যায় আল্লাহ্র অস্তিত্বের বিষয়টি ঠিক সেভাবে প্রমাণ করা সম্ভব নয়। তবে জাগতিক কোন বস্তুর মত আল্লাহ্র প্রমাণের বিষয়টি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে প্রমাণ করা যায় না বলে একথা বলা যাবে না যে, আল্লাহ্র বুঝি অস্থিত্ব নেই। কেননা, আল্লাহ্র অস্থিত্বের প্রমাণ অভিজ্ঞাতাভিত্তিক নয় তেমনি আল্লাহ্র অনস্থিত্বকেও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে প্রমাণ করা যায় না। এটি আসলে হৃদয় মনে উপলব্ধির বিষয়। এরপরও দার্শনিকরা দাশনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং বিজ্ঞানীরা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে আল্লাহ্র অস্তিত্বের প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। নিম্নে দর্শন ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ ছাড়াও কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহ্র অস্তিত্বের প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
দার্শনিকগণ আল্লাহ্র অস্তিত্বের প্রমাণ “আরো দেখুন, ঈঁহহরহমযধস এ. ডধঃঃং, চৎড়নষবসং ড়ভ চযরষড়ংড়ঢ়যু, ঢ়ঢ়. ৪১৩-৪১৮; উৎ. অনফঁষ ঔধষরষ গরধ অ ঈড়ঃবসঢ়ড়ৎধৎু চযরষড়ংঢ়যু ড়ভ জরষরমরড়হ (ওংষধসরপ ঋড়ঁহফধঃরড়হ, উযধশধ: ১৯৮২), ঈযধঢ়ঃবৎ-ঠওও. ”।
দিতে যেয়ে যে সমস্ত যুক্তির অবতারণা করেছেন সেগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে উপস্থাপন করা হল ঃ
প্রথমত, তত্ব বিষয়ক যুক্তি ঃ এই যুক্তিটির মূল বক্তব্য হলো, আল্লাহর ধারনার (ওফবধ ড়ভ এড়ফ) মধ্যেই আল্লাহ্র বাস্তবতা (জবধষরঃু ড়ভ এড়ফ) নিহিত। এখানে চিরন্তর বা ধারণা থেকে অস্তিত্বের উপনীত হওয়া বা অস্তিত্বের সিন্ধান্ত করাই হল যুক্তিটির সার কথা।
দ্বিতীয়ত, আদিকারণ বিষয়ক যুক্তি ঃ এই যুক্তিটির মূল বক্তব্য হলো, বিনা কারণে কোনো কার্যের উদ্ভব সম্ভব নয়। কাজেই এই সৃষ্ট জগতেরও কোন কারণ আছে। সৃষ্ট জগতের কারণ কোন সসীম বস্তু
হতে পারে না। কেননা তাহলে তার আবার অন্য কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। জগতের কারণ অসীম (ওহভরহরঃব) হওয়া প্রয়োজন। এই কারণ হলে আল্লাহ্।
তৃতীয়ত, উদ্দেশ্য সম্বন্ধীয় যুক্তি ঃ এই যুক্তিটির মূল বক্তব্য হলো, এ বিশ্বের প্রতি ক্ষেত্রে, প্রতি ঘটনায় এক উদ্দেশ্যের পরিস্কার প্রমাণ দেখা যায়। আর যেখানে উদ্দেশ্য আছে সেখানে সচেতন বুদ্ধির পরিচালনাল প্রশ্ন আছে; অতএব, জগতের পরিচালক হিসেবে, জগতের মহাপরিকল্পক হিসেবে এক অনন্ত ও অসীম আল্লাহ্র অস্তিত্ব রয়েছে।

তিনি এবং সাহাবায়ে কেরাম সকলেই রোজা রেখেছিলেন। আসফান ও কোদায়েদের মধ্যবর্তী কোদায়েদ জলাশয়ের কাছে পৌঁছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজা ভেঙ্গে ফেললেন। তার দেখাদেখি সাহাবায়ে কেরামও রোজা ভাঙ্গলেন।
আর রাহীতুল মাখতুম, মূল : আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী, অনুবাদ: খাদিজা আখতার রেজায়ী

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন