দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রের মাদার অরগানাইজেশন বলে যে সংগঠনটি পরিচিত তার নির্বাচন। বলা হচ্ছে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির নির্বাচনের কথা। আগামী ২৭ জুলাই সাত বছর পর এই সংগঠনটির নির্বাচন হবে। নির্বাচন উপলক্ষে এফডিসি যেন ফিরে পেয়েছে পুরো যৌবন। কারণ এই সমিতির সদস্য এবং প্রার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে চলচ্চিত্রের এই আতুর ঘর। ইতোমধ্যেই এই খবর জানার আর বাকি নেই চলচ্চিত্রপ্রেমীদের।
সাত বছর পর এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে চলেছেন মোট ৪৩ জন প্রার্থী। যদিও ফরম বিক্রি হয়েছিল ৪৬ টি। তবে ফরম তুলেও নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিন প্রযোজক। এই তিন প্রযোজকের মধ্যে আছেন দুইজন নাম জাদা অভিনয় শিল্পীও। তারা হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা আলমগীর এবং জয়া আহসান।
জানা যায়, গত ১৭ জুন সমিতির নির্বাচনী ফরম ছাড়া হলে নায়ক আলমগীর এবং জয়া আহসান ফরম তোলেন। কিন্তু ২৭ জুন ফরম জমা দেওয়ার শেষ তারিখেও তাদের ফরম জমা দেননি। তাতে পরিস্কার হওয়া গিয়েছে তারা নির্বাচন করবেন না। তবে কেনো ফরম তুলেও নির্বাচন থেকে সরে গেলেন এই দুই শিল্পী সেটা পরিস্কার নয়।
এদিকে শিল্পীদের মধ্যে আরো দুই জন অভিনেতা ও অভিনেত্রী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন বলে জানা যায়। তারা হলেন অভিনেতা ড্যানি সিডাক ও ইয়ামিন হক ববি। নির্বাচনী ফরম ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা দুজন সংগ্রহ করেছেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তা জমাও দিয়েছেন। তাদের এ গতি দেখে অনুমান করা যাচ্ছে শেষ পর্যন্তই তারা হয়তো নির্বাচনী মাঠে থাবকেন।
নির্বাচন করা প্রসঙ্গে ববি ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি সামনে থেকে চলচ্চিত্র উন্নয়নে কাজ করতে। বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই করে রেখেছি। যদি নির্বাচিত হতে পারি বা সম্মানিত সদস্যরা যদি আমাকে সুযোগ দেন তাহলে চলচ্চিত্রের উন্নয়ন, চলচ্চিত্রের মানুষের উন্নয়নে নিজেকে সার্বক্ষনিক ব্যস্ত রাখবো। যদিও এর আগে নির্বাচন ছাড়াই মানুষের কল্যানে কাজ করতে আপনারা আমাকে দেখেছেন। ইনশাআল্লাহ এই ধারাবাহিকতা চলতেই থাকবে। নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবে। কোনো কারণে যদি জয়ী হতে নাও পারি। তারপরও চলচ্চিত্রের মানুষদের পাশে থাকবো। চলচ্চিত্রের পাশে থাকবো।’
তবে কেনো নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েও পিছিয়ে গেলেন আলমগীর ও জয়া সেটার অনুসন্ধান চালিয়ে ইনকিলাব। এই অনুসন্ধ্যানে একটি সূত্র থেকে জানা যায়, আলমগীর নিজে নির্বাচনে অংশ নিতে ফরম তোলেননি। তার হয়ে ফরমটি তুলেছিলেন অন্য একজন প্রযোজক নেতা। ওই প্রযোজকের ধারণা ছিল আলমগীর হয়তো নির্বাচন করবেন। যখন অভিনেতার নামে ফরমটি তোলা হয় সে সময় তিনি লন্ডনে ছিলেন বলে জানা যায়।
বিষয়টি নিয়ে ইনকিলাবের সঙ্গে আলাপও করেছেন আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তবে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তাদের সবার জন্য আমার তরফ থেকে জানাচ্ছি শুভেচ্ছা। সেই সঙ্গে বিশ্বাস করছি নির্বাচনটি ভালো ভাবেই সম্পন্ন হবে। এবং বিজয়ী প্রার্থীরা চলচ্চিত্র উন্নয়তে কাজ করবেন।’
এদিকে সেল ফোনে জয়া আহসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে জয়ার নির্বাচন নিয়ে সংশ্লিষ্ট অনেকেই ধারণা করছেন কয়েকদিন হলো প্রযোজনায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। তার প্রযোজনায় ‘দেবী’ নামে মাত্র একটি চলচ্চিত্র উপভোগ করেছেন দর্শক। এর মধ্যে চলচ্চিত্রের শীর্ষ এই সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছা পোষণ করা তার একদমই ঠিক হয়নি। হয়তো ফরম তোলার পরে সেটা বুঝতে পেরেছেন অভিনেত্রী। আর সে কারণেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জয়া।
তবে জয়ার এক ঘনিষ্ট ব্যক্তি জানিয়েছেন, জয়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তার ব্যস্ততার জন্য। কারণ নির্বাচন করতে হলে বেশ কয়েকদিন এটা নিয়েই তাকে ব্যস্ত থাকতে হবে। কিন্তু সেই সময়টি একদমই দিতে পারবেন না এ অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, প্রযোজক সমিতির এ নির্বাচনে ফরম তুলেছিলেন মোট ৪৬ জন প্রার্থী। কিন্তু তিনজন প্রার্থী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফরম জমা দেননি। এদের মধ্যে আলমগীর ও জয়া আহসান ছাড়া আছেন গাজীপুরের একজন প্রযোজক। উল্লেখ্য, প্রযোজক সমিতির এ নির্বাচনে ফরম তুলেছিলেন মোট ৪৬ জন প্রার্থী। কিন্তু তিনজন প্রার্থী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফরম জমা দেননি। এদের মধ্যে আলমগীর ও জয়া আহসান ছাড়া আছেন গাজীপুরের একজন প্রযোজক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন