ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় পৃথক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক তরুণী ও এক গার্মেন্টকর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তবে তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ এক যুবককে আটক করলেও গার্মেন্টকর্মী ধর্ষণের ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি।
শনিবার দুপুরে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাহারুল ইসলাম শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক তানভীর রায়হানকে আটকের কথা স্বীকার করেন।
এর আগে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ওই ছাত্রী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আটক তানভীর রায়হান (২৬) ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার জিন্নাঘর এলাকার বশির আহমেদ এর ছেলে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম জানান, তিন বছর পূর্বে এক বন্ধুর মাধ্যমে তানভিরের সাথে পরিচয় হয় ওই তরুণীর। সে সময় তানভির নিজেকে রায়হান নামে পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীর সাথে মিথ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে তানভীর। কিন্তু তরুণীর বিয়ের কথায় স্বায় না দিয়ে তানভীর নানা টালবাহানা করতে থাকে।
পরে তানভীর কৌশলে শারীরিক সম্পর্কের গোপন ভিডিও ধারণ করে ওই তরুণীকে ব্লাকমেইল করে আসছিল। এমনকি তার কথামত না চললে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তানভীর।
শুক্রবার দুপুরে তানভির জোরপূর্বক ওই তরুণীকে ভিডিও ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আবার ধর্ষণ করে।
অবশেষে ওই তরুণী কোন উপায় না পেয়ে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে শুক্রবার রাতে তানভীরকে জামগড়া এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেন।
অপরদিকে শুক্রবার বিকেলে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
এ ঘটনার পর থেকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মৃত রূপ মিয়ার ছেলে অভিযুক্ত ধর্ষক আনা মিয়া (৬৫) পলাতক রয়েছেন বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজিকুল ইসলাম।
পৃথক দুটি ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন