সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায় খুলনা মহানগরের বেশিরভাগ সড়ক। গত দু’দিন খুলনায় হালকা বৃষ্টি হয়। এতে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, অলি-গলি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিপনী বিতানের সামনে পানি জমে। বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয় পানিবদ্ধতা।
বাস্তুহারা এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আষাঢ়ে তীব্র তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ নগরবাসী বৃষ্টির মধ্যে স্বস্তি খুঁজে পান। তবে স্বস্তির মাঝেও সৃষ্টি হয় জনদুর্ভোগ। বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। এখনই পানিবদ্ধতা নিরসনে কেসিসি’র পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে সামনে আরও ভারী বর্ষণে আটকে পড়বে জীবনযাত্রা।’
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘২২ খাল পুনরুদ্ধারসহ খনন চাই।’ গেøাবাল খুলনার আহŸায়ক শাহ মামুনুর রহমান তুহিন বলেন, ‘খুলনা শহর থেকে পানি নিরসনের প্রধান জায়গাগুলা পরিষ্কার করে দিলে পানিবদ্ধতা থাকবে না।’
খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবিরুল আজাদ বলেন, ‘নগরীর পানিবদ্ধতা দূরীকরণে ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্প জানুয়ারি মাস থেকে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি সম্পন্ন হতে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় লাগবে। নগরবাসীকে এ সময়কাল ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ প্রকল্পের আওতায় নগরীর ড্রেন পরিষ্কার করা, ময়ুর নদী খনন ও রূপসায় একটি আধুনিক পাম্প হাউজ করা হবে। এ পাম্প হাউজ দিয়ে রূপসা থেকে আশপাশের এলাকা হয়ে রয়েল মোড় পর্যন্ত এলাকার পানি টেনে বের করে দেয়া সহজ হবে।’
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘নগরীর পানিবদ্ধতা দূরীকরণের বিষয়টি কেসিসি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ৮২৩ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। পাশাপাশি নগরীর ২২ খাল উদ্ধারে অভিযান চলছে। দ্রূত সময়ের মধ্যে নাগরিকরা এ কাজের সুফল দেখতে পাবেন। আর পুরো সফলতার জন্য ২০২৩ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন