রাস্তায় বের হলে যানজটের কারণে মন-মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তবে এমন অভিজ্ঞতা নতুন কিছু না। ঢাকা শহর যানজটের শহর। বিশেষ করে কিছু কিছু রাস্তায় রিকশার কারণে তীব্র যানজট তৈরি হয়। আর রিকশার কারণে একবার যানজট সৃষ্টি হলে দীর্ঘ সময় লাগে গন্তব্যে পৌঁছাতে। সিটি করপোরেশন তিনটি প্রধান সড়কে রিকশা বন্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে-এটা খুব ভালো উদ্যোগ। রিকশা বন্ধ হলে প্রধান সড়কগুলোতে যাতায়াতে স্বস্তি আসবে। বেসরকারি কোম্পানীর কর্মকর্তা সালেকের মতো অনেকেই রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে এ সিদ্ধান্ত অনুসারে রিকশা বন্ধ করার বিকল্প হিসেবে রাস্তায় পর্যাপ্ত গণপরিবহনের নিশ্চয়তা চায় নগরবাসী।
রাজধানী ঢাকায় চক্রাকার বাস সার্ভিস রুটসহ প্রধান তিনটি সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ থেকে এ ঘোষণা কার্যকর হবে। ঢাকা মহানগরীর অবৈধ যানবাহন বন্ধ, ফুটপাত দখলমুক্ত ও অবৈধ পার্কিং বন্ধে গঠিত কমিটির সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এ ঘোষণা দেন। যেসব সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলো হলো- কুড়িল-রামপুরা-সায়েদাবাদ, গাবতলী-আসাদগেট-আজিমপুর ও সায়েন্সল্যাব- শাহবাগ। গত ৩ জুলাই বুধবার দক্ষিণ নগর ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভা শেষে এই সড়কগুলোতে রিকশা চলাচল বন্ধের পাশাপাশি সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করারও ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে রিকশা না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার মধ্যে নির্ধারিত সড়কগুলোতে রিকশা না চালানোর জন্য মালিক ও চালকদের প্রতি এ আহ্বান জানান মেয়র। গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, রিকশা মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
জানা গেছে, ১৯৩৮ সালে কলকাতা থেকে ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ঢাকায় আনা হয়েছিল রিকশা। কলকাতা পৌরসভা রিকশাকে ‘অমানবিক যান’ ঘোষণা করেছে। পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন শহরে যানজট ও বিশৃঙ্খলা কমাতে রিকশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ ঢাকায় রিকশার সংখ্যা বাড়ছেই। কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ না থাকার পরেও গ্রাম থেকে রাজধানীতে এসেই এলাকাভিত্তিক গ্যারেজের সূত্র ধরে রিকশার চালক বনে যাচ্ছে শত শত মানুষ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল ইএনএফপিএর পরিসংখ্যান মতে, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ঢাকায় এই হার ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ হিসাবে প্রতিদিন রাজধানীতে গড়ে বাড়ছে ১৭০০ মানুষ। এই বাড়তি মানুষের একটি অংশ ভূমিহীন, যাদের অল্প জমি আছে বাড়তি আয়ের জন্য তারাও ঢাকায় আসছে। কৃষিকাজ ছেড়ে শহরে এসে তার একটি অংশ বনে যাচ্ছে রিকশাচালক। সংশ্লিষ্টদের হিসাবে, ঢাকায় রিকশার চেয়ের রিকশা চালকের সংখ্যা দ্বিগুনের কাছাকাছি। অর্থাৎ ১৫ লাখেরও বেশি।
উইকিপিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪১ সালে ঢাকায় রিকশা ছিল ৩৭টি। ১৯৪৭ সালে বেড়ে হয়েছিল ১৮১টি। সে সময় বিদেশ থেকে ঘোড়ার গাড়ির সঙ্গে রিকশাও আনা হয়েছিল। রিকশা নিয়ে ঢাকাবাসীর ব্যাপক কৌতুহলও ছিল সে সময়। কৌতুহলের সেই রিকশা ঢাকাবাসীর জন্য যন্ত্রণাদায়ক হবে কে জানতো। ঢাকার রাস্তায় ১৯ ধরনের যান্ত্রিক যানবাহনের সঙ্গে একই রাস্তায় চলছে রিকশা, রিকশাভ্যান, ঠেলাগাড়ির মতো অযান্ত্রিক যানবাহন। সাথে যোগ হয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। এসব মিশ্র পরিবহন যান চলাচল করছে লেন, বিধি না মেনেই। এতে করে সড়কে দুর্ঘটনার হার বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী, রাজধানীর রাস্তায় সর্বোচ্চ দুই লাখ ১৬ হাজার গাড়ি চলতে পারে। সেখানে ঢাকায় চলছে ১২ লাখের ও বেশি রিকশা। অর্থাৎ সব ধরনের যান্ত্রিক গাড়ির চেয়েও বেশি হারে রিকশা চলছে। রাজধানীর যানজটের এটা একটা প্রধান কারণ।
পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা ও এর আশপাশে এক কোটি ৭০ লাখ বা তার কিছু বেশি মানুষের বসবাস। এক সমীক্ষার হিসাবে, ঢাকায় রিকশার যাত্রী ১৭ লাখ ৬০ হাজার। রিকশায় দৈনিক যাতায়াতের সংখ্যা দুই কোটি ৯৩ লাখ। কোনো আদর্শ মহানগরীতে আয়তনের ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয়। ঢাকা মহানগরীতে আছে প্রায় ৭ শতাংশ। মহানগরীর দুই হাজার ২৮৯ কিলোমিটার সড়ক আছে। প্রধান প্রধান সড়কের মধ্যে যন্ত্রচালিত গাড়ি চলাচল করতে পারে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সড়কে। দখল, অপ্রশস্ততা, নির্মাণ সামগ্রীর কারণে ব্যবহার করতে না পারাসহ বিভিন্ন কারণে ৯৬ শতাংশ সড়কেই বড় গাড়ি চলতে পারে না। সরকারের আরএসটিপির সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর প্রধান সড়ক, বাইলেনসহ বিভিন্ন সড়কের ৯৫ শতাংশেই রিকশার আধিক্য থাকে। নগরীতে রিকশার সংখ্যা কতো এর কোনো সঠিক হিসাব নেই কারো কাছে। রাজউকের মাস্টার প্লান অনুযায়ী ঢাকায় রিকশার সংখ্যা ৫ লাখ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নগরীতে রিকশার সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঢাকায় এখন রিকশার সংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি। এর সাথে যোগ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মোটরচালিত রিকশা ও ইজিবাইক।
প্রধান তিনটি সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধের ঘোষণার পর ইতোমধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন অনেকেই। যারা প্রতিনিয়ত উল্লেখিত তিনটি সড়কে যাতায়াত করেন তারা মনে করছেন, রিকশা বন্ধ করলে তিনটি সড়কে যানজট কমবে, মিলবে স্বস্তি। মধ্যবাড্ডার বাসিন্দা মজনু বলেন, প্রধান সড়কে রিকশা চলাচলে অসুবিধা অনেক। প্রধান সড়কগুলোতে রিকশা চলাচলে শৃঙ্খলা থাকে না। ওরা (রিকশা চালক) ইচ্ছেমত দাঁড়িয়ে যায়, ডানে বামে টার্ন নেয়, ইচ্ছেমতো দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করায়। দেখবেন, একটা রিকশা সামনে থাকলে পেছনে থাকা সব গাড়ির গতি হয়ে যায় রিকশার সমান। জ্যামের ঢাকায় রিকশাগুলো এভাবে চলতে পারে না। প্রধান সড়ক হতে রিকশা উঠিয়ে দিয়ে জ্যাম কমানো সম্ভব। তাহলে জনজীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে। প্রাইভেটকার চালক খলিল বলেন, মূল সড়কে রিকশার চলাচলের কারণে অনেক রাস্তায় জ্যাম হয়। নিয়মিতই দেখবেন, তিন লেনের রাস্তার দুই লেন রিকশার দখলে। এসব কারণে মূল সড়কগুলো যানজট সৃষ্টি হয়। সিএনজি অটোরিকশাচালক মাহবুব বলেন, প্রধান সড়কে রিকশার কারণে গাড়িগুলো স্বাভাবিক গতিতেও চলাচল করতে পারে না।
তবে প্রধান সড়কে রিকশা বন্ধের দাবি জানালেও, যেসব সড়কে পাবলিক পরিবহন নেই সেগুলোতে রিকশা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই। নগরীর এমন কিছু অঞ্চল রয়েছে যেখানে রিকশার বিকল্প ভাবা কঠিন বলে জানান তারা। বনশ্রীর বাসিন্দা সারোয়ার বলেন, আমি ই ব্লক ৮ নম্বর রোডে থাকি। সেখান থেকে টিভি সেন্টার আসার জন্য একমাত্র ভরসা রিকশা। এ এলাকার ভিতর থেকে রিকশা তুলে দেওয়া ঠিক হবে না। প্রধান সড়কে বন্ধ হোক। তিনি বলেন, রামপুরা ব্রীজ থেকে মালিবাগ যাব; তখন গণপরিবনে যেতে পারি। আর এ সড়কে রিকশা উঠিয়ে দিলে দ্রুত যাওয়া সম্ভব। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক ড. আব্দুল মতিন ইনকিলাবকে বলেন, কয়েকটি রাস্তায় রিকশা চলাচল বন্ধ করলেই রাজধানী যানজট মুক্ত হবে না। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য ফুটপাত অবমুক্ত রাখতে হবে। যাতে প্রয়োজনে তারা হাঁটতে পারেন। রিকশার জন্য প্রয়োজনে আলাদা লেন করে দেয়া যেতে পারে। ফুটপাত মুক্ত না করে, রিকশা চালকদের বিকল্প ব্যবস্থা না করে শুধুমাত্র গাড়িওয়ালাদের সুবিধার জন্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে ঢাকাকে যানজট মুক্ত করা সম্ভব নয়।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, রিকশা বন্ধ করার আগে ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করা জরুরি। একই সাথে পর্যাপ্ত গণপরিবহনের ব্যবস্থা থাকাও দরকার। তিনি বলেন, রাজধানীতে যানজটের প্রধান কারণ প্রাইভেটকার। যেগুলো ৭০ শতাংশ সড়ক দখল করে মাত্র ৭ শতাংশ যাত্রী বহন করছে। আবু নাসের বলেন, যে সব সড়কে রিকশা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে সেগুলোতে পর্যাপ্ত গণপরিবহন নাই। এত ভোগান্তি বাড়তে পারে। মানুষের ভোগান্তি কমাতে ফুটপাত দখলমুক্ত ও গণপরিবহন বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, রাজধানীতে চক্রাকার বাস সার্ভিসের জন্য দুটি রুট ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধান তিনটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ করা হচ্ছে মূলত চক্রাকার বাস সার্ভিসকে জনপ্রিয় করার জন্যই। প্রথম রুটের শুরু আজিমপুর থেকে। রুট পরিকল্পনা অনুযায়ী এই বাসটি প্রতিদিন নিউমার্কেট-সায়েন্সল্যাব-ধানমন্ডি ২ নম্বর রোড হয়ে সিটি কলেজের সামনে দিয়ে আগে সাত মসজিদ সড়কে যাবে। সেখান থেকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়ক দিয়ে ঘুরে সোবহানবাগ-রাসেল স্কয়ার-কলাবাগান-ধানমন্ডি ৬ নম্বর সড়ক মোড়-ধানমন্ডি ৩ নম্বর সড়ক মোড় হয়ে আবারও সায়েন্সল্যাব দিয়ে নিউমার্কেট হয়ে আজিমপুর পৌঁছাবে। এর পরের বার বাসটি আজিমপুর থেকে যাত্রা শুরু করে পলাশী দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম প্রান্ত ঘেঁষে নীলক্ষেত-কাঁটাবন হয়ে বাঁয়ে মোড় নেবে। এরপর বাটা ক্রসিং-সায়েন্সল্যাব হয়ে আবারও ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়ক দিয়ে জিগাতলা হয়ে সাত মসজিদ সড়কের দিকে যাবে। দিনভর এভাবেই এই রুটে গাড়ি চলবে। মূলত গাড়ি ঘোরানোর কারণে যানজট সৃষ্টি হওয়া এড়াতে বাসটির এমন রুট পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এই চক্রাকার বাস সার্ভিসের আরেকটি রুটের শুরু সোবহানবাগ থেকে। এটি রাসেল স্কয়ার দিয়ে কলাবাগান-ধানমন্ডি ৬ নম্বর সড়ক মোড়-ধানমন্ডি ৩ নম্বর সড়ক মোড় হয়ে সায়েন্সল্যাব দিয়ে বাঁয়ে বাটা ক্রসিংয়ের দিকে যাবে। সেখান থেকে কাঁটাবনে ঘুরে নীলক্ষেত-পলাশী হয়ে আজিমপুর পৌঁছাবে। এরপর আবারও আজিমপুর থেকে নিউমার্কেট-সায়েন্সল্যাব-ধানমন্ডি ৩ নম্বর সড়ক-৬ নম্বর সড়ক মোড়-কলাবাগান সোবহানবাগ হয়ে ২৭ নম্বর সড়ক ঘুরে সাত মসজিদ রোডে পৌঁছাবে। এই সড়ক দিয়ে বিজিবি সদর দফতরের সামন দিয়ে ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়ক হয়ে ধানমন্ডি ৩ নম্বর সড়কের সামনে ডানে ইউটার্ন নিয়ে আবারও সায়েন্সল্যাব-বাটা ক্রসিং-কাঁটাবন-নীলক্ষেত-পলাশী হয়ে আজিমপুর পৌঁছাবে। এর পরেরবার এটি আবার রওনা হবে নিউমার্কেটের সামন দিয়ে।
সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, কুড়িল-রামপুরা-সায়েদাবাদ, গাবতলী-আসাদগেট-আজিমপুর ও সাইন্সল্যাব-শাহবাগ এ তিন প্রধান সড়কে আজ রোববার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে রিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে। এসব সড়কের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে পরবর্তীতে ১৪ জুলাই আবারও বৈঠকে বসবে সমন্বয় কমিটি। সুফল পাওয়া গেলে রিকশা বন্ধ হতে পারে রাজধানীর সব সড়কেই।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, সড়ক থেকে রিকশা তুলে নেওয়াটা হবে খুব ভালো একটা উদ্যোগ। প্রধান সড়কগুলো থেকে রিকশা তুলে দেওয়া হলে প্রাইভেট কার, বাস, লেগুনা এগুলোর গতি বেড়ে যাবে। যানজট কমে যাবে।
রিকশা চলাচলে কি ধরনের সমস্যা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, রিকশা হচ্ছে ধীরগতির যান। বিশ্বের কোনো দেশে প্রধান সড়কে ধীর গতির যান বা রিকশা চলাচল করে না। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশের কলকাতা শহরের প্রধান সড়কে রিকশা চলে না। এসব রিকশা যখন প্রধান সড়কে উঠে যায় তখন অন্যান্য গাড়িগুলোর গতি অনেক কমে যায়। একটা গাড়ি যে ফ্লোতে যাওয়ার কথা সে ফ্লোতে যেতে পারেনা। এতে জট সৃষ্টি হয়। এছাড়া গাড়ির জ্বালানীর অপচয়ও বেড়ে যায়। #
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন