বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

যানজট নিত্য যন্ত্রণা

শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়ক প্রকল্পের ভারে ন্যুব্জ

একলাছ হক | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন পথে নেমেই যানজট যন্ত্রণায় পড়ছেন; যানজট নিরসনের কার্যকর উদ্যোগ নেই দায়িত্বশীলদের তাদের পুরোনো একই রেকর্ড ‘উন্নয়ন প্রকল্পের ধীরগতিই দায়ী :: বিদেশে অতিথি ও বিনিয়োগকারীরা এয়ারপোর্ট থেকে সড়কে উঠেই ভোগান্তিতে পড়ছেন : লাখ লাখ শিক্ষার্থী, কর্মজীবী মানুষের ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকা যেন নিয়তি হয়ে গেছে :: সমন্বয়হীনতা এবং খন্ডিত উন্নয়নের কারণে আমাদের ‘উন্নয়ন যন্ত্রণা’ পোহাতে হচ্ছে : প্রফেসর ড. শামছুল হক
হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে দেশের আয়না। বিদেশী রাষ্ট্রনায়ক, সরকার প্রধান, বিনিয়োগকারীরা এ বিমানবন্দরে নেমে ঢাকায় প্রবেশ করেন। তাছাড়া প্রতিদিন কোনো না কোনো বিনিয়োগকারী ঢাকা আসছেন। বিমানবন্দর রোড সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশিরা মহাসড়কে উঠেই বাংলাদেশের কী চিত্র দেখছেন? প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিদেশ যেতে এ সড়ক হয়ে বিমানবন্দরে যাতায়াত করছেন। তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থাকতে হচ্ছে। বিমানবন্দর সড়কে যাতায়াতকারীদের জন্য ‘নিয়তির দুর্গতির সড়কে পরিণত হয়েছে। শুধু কি বিদেশিরা? দেশের লাখ লাখ মানুষ এই সড়কে যাতায়াত করেন। স্কুল-কলেজ-মাদরাসা-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়–য়া লাখো শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই সড়কে যাতায়াত করেন। তাদের সকলকে নিত্য ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু সড়কে যানজটের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা একই রেকর্ড বাজিয়েই চলছেন। তাদের কমন ডায়লগ উন্নয়ন করা চলমান থাকায় খানাখন্দ, যত্রতত্র গর্ত, রাস্তা চিকন হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। কিন্তু এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণের কোনো কার্যকরা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে বেশি লোকচলাচলকারী বিমানবন্দর সড়কে যেন উন্নয়নে ডাম্পিংয়ে পরিণত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রফেসর ড. শামছুল হক ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের বিজ্ঞান ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা করতে হবে। যানজট নিয়ন্ত্রণে রাজউকসহ অন্যদের নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা করা উচিত। ঢাকায় গণপরিবহনে সমন্বয় নেই। সেই সমন্বয় আনতে হবে। ঢাকার যানজট থেকে মুক্তির জন্য সাবওয়ে বা পাতালরেল হলো খন্ডিত উন্নয়ন। এই শহরের যানজট মুক্ত করতে হলে গণপরিবহন, সিগন্যালসহ সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন করতে হবে। নানা কারণেই এখন আমাদের উন্নয়ন যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে। প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল বলেই দুর্ঘটনা ঘটছে। এখানে সুশাসনের অভাব রয়েছে।

ঢাকার এয়ারপোর্ট রোড তথা মহাখালী থেকে বিমানবন্দর হয়ে উত্তরা-গাজীপুর চৌরাস্তা মহাসড়কে গাড়ির গতিবেগ কত তা রীতিমতো গবেষণার বিষয় হয়ে গেছে। এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে যানবাহন চলাচল করার কথা থাকলেও এ পথে যানবাহন ঘণ্টায় কত পথ অতিক্রম তা বলা মুশকিল। এক ভুক্তভোগী জানালেন, উত্তরা থেকে গাজীপুর এক ঘণ্টার পথ। তবে সকালে আরো কম সময় লাগে। তিনি গতকাল সকাল সাড়ে ৬ টায় উত্তরা থেকে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। গন্তব্যে পৌঁছেন ১১ টায়। এ ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে তার সাড়ে ৪ ঘণ্টা সময় লেগেছে। গতকাল একাধিক দৈনিকে খবর বের হয় টঙ্গীর মহাসড়কে ৫ ঘণ্টায় এক ইঞ্চিও নড়েনি যানবাহন।

প্রকল্পের ভারে ন্যুব্জ বিমানবন্দর রোড এলাকা। ঢাকা হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকাকে ঘিরে চলছে একাধিক প্রকল্পের কাজ। এসব প্রকল্পের কাজের জন্য রীতিমত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বছরের পর বছরে একই এলাকায় এসব একাধিক প্রকল্পের কাজ চলতে থাকায় এই সড়ক ব্যবহারকারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে। এছাড়া বিমানবন্দরের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে কাজ চলার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিমানবন্দর গোলচত্বরের দক্ষিণে বিমানবন্দর-কুড়িল মহাসড়কে নির্মাণ করা হচ্ছে ঢাকার প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। শুধু বিআরটি বা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নয়, বিমানবন্দর গোলচত্বর ঘিরে আরো চারটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এর মধ্যে মেট্রো রেললাইন-১ আর ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজও চলছে। বিষেজ্ঞদের মতে, উন্নত দেশের মতো বিমানবন্দরকেন্দ্রীক উন্নয়নটা জরুরি। কিন্তু উন্নয়নের ধকলে মানুষের ভোগান্তি যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আবার উন্নয়নের নামে বছরের পর বছর কাজ চলতেই থাকলে একটার পর একটা জেনারেশন ভোগান্তি নিয়েই জীবন পার করতে থাকবে। সেটা যেন না হয় সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

জানা যায়, রাজধানী ঢাকায় অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজ হচ্ছে বিমানবন্দর এলাকায় অরক্ষিত অবস্থায়। প্রায় দুই কোটি লোকের ঢাকায় লাখ লাখ মানুষ চলাফেরা করেন। অথচ উন্নয়ন প্রকল্পের বেশির ভাগেই নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। উত্তরা এলাকার বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে একেবারেই হেলাফেলাভাবে। প্রতিদিন এই সড়কে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে, অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যাতায়াত করে লাখো শিক্ষার্থী। অথচ অরক্ষিতভাবে প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। অরক্ষিত এই প্রকল্পে গার্ডার পড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহতের ঘটনায় উত্তরা এলাকার বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক-উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, শিগগিরই খুলে দেয়া হচ্ছে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের টঙ্গী রেলগেট থেকে উত্তরা পর্যন্ত ফ্লাইওভারের একাংশ। এর মাধ্যমে টঙ্গী থেকে ঢাকায় ঢুকতে ব্যবহার হবে নতুন পথ। এই অংশ চালু হলে টঙ্গী ব্রিজের দ্বিতীয় অংশের কাজ শুরু করবে কর্তৃপক্ষ। তবে হেঁটে চলাচলের জন্য নিচের বেইলি ব্রিজটি চালু থাকবে বলেও জানিয়েছে কতৃর্পক্ষ। মাস তিনেক আগেই শেষ হয়েছে এ ফ্লাইওভারের কাজ। তবে টঙ্গী ব্রিজের একপাশের কাজ শেষ হওয়ার জন্যই খোলা যাচ্ছে না পুরো সড়ক। অবশেষে সেই দোটানা থেকে বেরিয়ে ঢাকায় ঢোকার পথটিই খুলে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। টঙ্গী রেলগেট থেকে সরাসরি চলে আসা যাবে উত্তরায়।

ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রাফিক পুলিশ থেকে এবং আমাদের যারা প্রকল্পের কাজে বা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আছেন তাদের কাছ থেকে অনেক সাজেশন পেয়েছি, সেগুলো মাথায় রেখেই আমরা বাস্তাবায়ন করে যাচ্ছি। এ সপ্তাহের মধ্যেই খুলে দেয়া হবে এ সড়ক, আমরা প্রস্তুত আছি, তবে নিরাপত্তার বিষয়ে নতুন কোনো ইস্যু সৃষ্টি না হয়, তাহলে আমরা আমাদের দিক থেকে খুলে দিতে পারব।

নগরবাসী মেট্রোরেলে চড়বে আগামী ডিসেম্বরে। বাণিজ্যিকভাবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল-এমআরটি লাইন সিক্সের প্রথম অংশ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে চলবে ১৬ ডিসেম্বর। তারপর এক বছর পরেই আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের বাকি অংশও চালু হয়ে যাবে। মোট ১৬টি মেট্রো স্টেশনের ৯টি আগারগাঁও থেকে দিয়াবাড়ি অংশে। স্টেশনের মূল ভবনের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে বেশ আগেই।

ডিএমটিসিএলের আওতায় উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে পারফরম্যান্স টেস্ট। জুন থেকে জুলাই পর্যন্ত ইন্টিগ্রেটেড টেস্টের পর বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী নিয়ে চালু করার আগে আগস্ট মাসে ট্রায়াল রান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যা নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। ডিপো থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে ৯টি স্টেশনের নির্মাণকাজের ৯২ শতাংশ শেষ হয়েছে। উড়ালপথ নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ হয়েছে অনেক আগে। নিয়মিত উত্তরা-আগারগাঁও পরীক্ষামূলক চলাচল করছে মেট্রোরেল।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেছেন, মেট্রোরেল চলাচলের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন তাদের নিজস্ব একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বাণিজ্যিক চলাচল শুরু করতে চাই। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে কেন্দ্রীয় মনিটরিং কক্ষের সাথেও। যাকে বলা হচ্ছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিকম ম্যাথড। এ জন্য জন্য বিটিআরসি থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে।

যানজট, গণপরিবহনের ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকার দৃশ্য পাল্টে যাবে আর কয়েক মাস পরেই। ডিসেম্বর মাসে চালুর লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত কাজ চলছে দ্রæত গতিতে। এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলেই পাল্টে যাবে রাজধানী ঢাকার সড়কের দৃশ্য।

যানজট থেকে স্থায়ী স্বস্তি দিতে পাতাল রেলের নতুন যুগে প্রবেশ করছে যানজটের নগরী ঢাকা। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মধ্যে পাতাল রেলের নতুন যুগে প্রবেশ করবে। রাজধানী ঢাকায় ছয়টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল)। বিমানবন্দর-বাড্ডা-কমলাপুর রুটে সড়কের নিচ দিয়ে চলবে দ্রæতগতির এ ট্রেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ মেট্রো লাইন নির্মাণে মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। প্রথমপর্যায়ের নির্মাণকাজ কমলাপুর থেকেই শুরু হবে বলে জানান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।

উত্তরা এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, প্রকল্প আমাদের এলাকার জন্য এখন আর আশির্বাদ নয়। এখন এটি যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর চলতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখন আবার প্রকল্পের লোকজনের অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষকে মরতে হয়। এমনভাবে প্রকল্পের কাজ চলতে পারে না। আমরা এখন মনে হয় নিরাপত্তাহীনতায় আছি।

এদিকে, বিমানবন্দর-গাজীপুর সড়কে গত কয়েকদিনের টানা যানজটে যাত্রীদের অসহনীয় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ৩০ মিনিটের রাস্তা ৫ ঘণ্টায় পার হওয়া যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন সড়কে চলাচলকারীরা। মহাসড়কের গাজীপুর অংশে এ দুর্ভোগ যেন স্থায়ী রূপ নিয়েছে এমনটাই ভাবছেন এ রোডে চলাচলকারী পরিবহন মালিক, শ্রমিক, কর্মজীবী মানুষসহ সাধারণ যাত্রীরা। খানাখন্দ ও মহাসড়কে ছোট-বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আগের দুদিনের মতো দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে এই সড়কে। মাত্র কয়েক মিনিটের পথ পেরোতে যাত্রীদের সময় লেগে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ঢাকাগামী গাড়িগুলো দুই-তিন লেনে এসে টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় এক লেনে ঢাকায় প্রবেশ করছে। যানজট নিরসনে গত রাতে ওই অংশে ময়মনসিংহমুখী মহাসড়কে এক লেনের মেরামতকাজ হয়েছে।

রাজধানীর যানজট পরিস্থিতি নিয়ে সংসদীয় কমিটির উদ্বেগ : রাজধানীর যানজট পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে অবৈধ রাইড শেয়ারিং বন্ধে চালকদের নির্ধারিত পোশাকের ব্যবস্থা চালুসহ কয়েকদফা সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, অবৈধ রাউড শেয়ারিং বন্ধ হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকটা নিরসন হবে। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান। বৈঠকে কমিটির সদস্য, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এনামুল হক, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, মো. ছলিম উদ্দীন তরফদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, রাবেয়া আলীম ও মেরিনা জাহান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে সড়ক, মহাসড়কের যানজট ও দুর্ঘটনারোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন এবং মোটর সাইকেল ও নসিমন-করিমন বন্ধের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
সৌমিত্র মজুমদার ২৮ অক্টোবর, ২০২২, ৮:৪৫ এএম says : 0
মহাসড়কে, সি এনজি ,অটো ভ্যান ওঠা বন্ধ করা, দূরপাল্লার বাস জায়গায় দারানো বন্ধ করা, মহাসড়কে এসে যে রাস্তা গুলো মিসেছে সেই মোর গুলোতে ট্রাফিক এবং নিয়ম শৃঙ্খলা কঠিন করা।
Total Reply(0)
Md Reza Mahmud Azim ২৮ অক্টোবর, ২০২২, ৮:৪২ এএম says : 0
ঢাকা আসতে লাগবে ৯ টা আর সেখানে রাত ৪ টা পর্যন্ত গাড়িতে বসে থাকা লাগে, এই হচ্ছে ঢাকা -ময়মনসিংহ মহাসড়ক!
Total Reply(0)
Engr Rashed Hasan ২৮ অক্টোবর, ২০২২, ৮:৪৪ এএম says : 0
রাস্তার ধারণ ক্ষমতার চাইতে গাড়ি বেশি। বিশ্বের কোথাও এত অল্পজায়গায় বিশকোটি লোক বসবাস করে না।
Total Reply(0)
Md Masud Hawlader ২৮ অক্টোবর, ২০২২, ৮:৪৩ এএম says : 0
ব্যাংক বীমা গার্মেন্টস দুর পাল্লার বাস সহ ঢাকার বাইরে হস্তান্তর করা হোক সাথে অযোগ্য ট্রাফিক গুলো প্রত্যাহার করে যোগ্য ট্রাফিক দিয়ে সিগন্যালে দায়িত্ব দেয়া হোক অধিকাংশ গাড়ি রাস্তার লেন মানেনা এই লেন মানানোর জন্য রাস্তায় মনিটরিং করা হোক তাহলে হয়তো যানজট কমে আসবে
Total Reply(0)
Mehedi Hasan Minto ২৮ অক্টোবর, ২০২২, ৮:৪২ এএম says : 0
এই ময়মনসিংহের রোডে ঝ্যাম থাকবেই
Total Reply(0)
Omar Faruque ২৮ অক্টোবর, ২০২২, ৮:৪৪ এএম says : 0
সবচেয়ে বড় প্রবেলেম দেখলাম প্রাইভেট গাড়ি গুলো দুই একজন নিয়ে যাচ্ছে, তাদের সন্তানের কলম, খাতা ব্রাস কিনতে প্রাইভেট কার নিয়ে মার্কেটে যায় ফলে জায়গায় বেশি লাগে । আগে প্রাইভেট গাড়ি কেনার প্রতি বিধিনিষেধ আনতে হবে, টুনকো কাজের জন্য বাহিরে বের হওয়া যাবে না,এখন তো বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ গাড়ি কিনতে পারে তাই সবার জন্য কেনার বিধিনিষেধ করতে হবে।যারা সরকারি কর্মকর্তা তাঁদের জন্য স্পেশাল সিএনজি থাকা উচিত, কার নয় তাতে রাস্তার জায়গা কম লাগবে।
Total Reply(0)
Iqbal Hasan ২৮ অক্টোবর, ২০২২, ৮:৪৪ এএম says : 0
এর একমাত্র কারণ বাংলাদেশে মহাসড়ক কি কাজে ব্যবহার করা হয় না খুজে পাবেন না । বহুমূখী ব্যবহার্য বাংলাদেশে মহাসড়ক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন