অন্যান্য দিনের চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে যানজট ছিলো তুলনামূলক বেশি। এতে অফিসগামী মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও যানজটের তীব্রতা এখনো কমেনি। রাজধানীর গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, রামপুরা, মালিবাগ, হাতিরঝিল, মগবাজার ও গুলশানের কিছু কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অন্যান্য দিনের চেয়ে এসব এলাকায় যানজটের মাত্রা বেশি।
এদিকে হাতিরঝিল, মগবাজার, বনানী ও গুলশানের কিছু কিছু অংশে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যানজট দেখা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে এসব এলাকায় সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট দেখা গেছে। অপরদিকে, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, যাত্রারাড়ী, শানর আখড়া এলাকায় গতকাল সন্ধ্যায়ও যানজট রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রতিদিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ঢাকার যানজট। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সপ্তাহের প্রত্যেত কর্মদিবসে দেখা যায় যানজট। অনেক সড়কে তৈরি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। যানজটে আটকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে নারী-শিশু এবং কর্মজীবী ও শিক্ষার্থীরা বেশি ভুগছেন। এর মধ্যে আবার অস্বস্তি বাড়িয়েছে গরম। বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের কারণে কর্মজীবী মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। অসহনীয় রূপ ধারণ করা যানজটে সামান্য পথ অতিক্রম করতে সময় লাগছে কয়েক ঘণ্টা। ধীরগতিতে চলা যানবাহনে বসে গরমে হাঁসফাঁস করেছেন বিভিন্ন বয়সী যাত্রীরা।
বাড্ডা এলাকায় খায়রুল নামে এক ব্যক্তি জানান, তিনি সকাল ১০টা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট যানজটে আটকে ছিলেন। নতুন বাজার থেকে রামপুরাগামী রাস্তায় যানবাহনগুলো তখন প্রায় স্থবির হয়ে ছিল। আরেক অফিসগামী যাত্রী বলেন, প্রগতি সরণি এলাকার যানজটে স্থাবর ছিলো। রামপুরা থেকে কুড়িল রাস্তায় গাড়ি ধীরে ধীরে চলাচল করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রগতি সরণি এলাকায় দায়িত্বরত এক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বলেন, এই রাস্তা দিয়ে বাণিজ্য মেলায় যাওয়া লোকজনের যাতায়াত বেড়েছে। ফলে রাস্তায় কিছুটা চাপ বেড়েছে। তবে তা বেশিক্ষণ থাকবে না, স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
হাতিরঝিল দিয়ে যাতায়াত করা এক যাত্রী বলেন, শাহবাগে অফিস করতে আমি সবসময় এদিক দিয়ে চলাচল করি। সাধারণত হাতিরঝিলে যানজট থাকে না। তবে হাতিরঝিলে প্রায় ৪৫ মিনিটের মতো যানজটে আটকে ছিলাম। বনানী এলাকায় কর্মরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. হাসিব বলেন, রাস্তার অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। গাড়ির চাপ বেশি নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন