নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী সাধারণ। মহাসড়কের যানজটের কারণে শাখা ছোট সড়কগুলোতেও যানজটের প্রভাব পড়েছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়াসহ চাকুরীজীবিরা সঠিক সময় কর্মস্থলে পৌঁছতে না পেরে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে ছিলো যাত্রীবাহী গাড়ির পাশাপাশি মালবাহী গাড়িও। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও আটকা পড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাঁচপুর থেকে ভুলতা পর্যন্ত এ যানজট লেগে থাকে।
পথচারী, যাত্রী সাধারণ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রূপগঞ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। এখানে ছোটবড় সব মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়ক অবস্থিত। দুটি মহাসড়ক যোগে যাত্রী সাধারনের পাশাপাশি হাজার হাজার শ্রমিক চলাচল করে থাকেন। ভুলতা-গোলাকান্দাইল এলাকায় ফ্লাইওভার হওয়ায় সেখানে এখন আর যানজট সৃষ্টি হচ্ছেনা।
তবে, যাত্রামুড়া, বিশ্বরোড, বরাব, বরপা, রুপসী এলাকায় মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, অবৈধ বেবি, অটো ও লেগুনা স্টেশন, ফুটপাটে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি বিকল হওয়া, নিয়ম ভঙ্গ করে গাড়ি চালানো, সড়ক প্রশস্থতা কম, ট্রাফিক আইন না মানা, নিয়ম ভঙ্গ করে ওভারটেকিং, স্টেশনগুলোতে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজিসহ আরো নানা কারণে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অল্প সংখ্যক হাইওয়ে পুলিশ সদস্য যানজট নিরসনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। পরে পুলিশের তৎপরতায় ধীরে ধীরে যানজট নিয়ন্ত্রণে আসে।
যাত্রামুড়া এলাকায় অবস্থিত এখলাছ উদ্দিন ভূইয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোয়াদা ইসলাম বলেন, সকাল ৮টায় তারা বাসে করে স্কুলে পৌঁছায় ৯টার মধ্যে। যানজটের কারণে সাড়ে ৯টায় বাসে উঠেন এবং স্কুলে পৌঁছায় ১২টার দিকে।
আবুল হাশেম নামে এক বাস যাত্রী বলেন, সকালে ৮টার দিকে চিটাগাং রোড থেকে গাড়িতে উঠেছি। কাঁচপুরে এসে যানজটের কবলে পড়েছি। যেখানে কাঁচপুর থেকে বরপা যেতে সর্বোচ্চ ১০-১৫ মিনিট লাগে। কিন্তু ১ ঘণ্টা পর এখনও বরাব বসে আছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ নবীর হোসেন বলেন, দুই মহাসড়কেই যানজট নিরসনে আমাদের পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকেন। সকাল থেকে সৃষ্টি হওয়া তীব্র যানজট নিরসন করতেও কাজ করেছেন। যার ফলে দুপুরের পর একেবারেই যানজটমুক্ত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন