শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চাহিদা মিটবে দেশিতে

কোরবানিতে এবারও প্রস্তুত হচ্ছে কোটির বেশি গবাদিপশু

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

কয়েকবছর আগেও কোরবানির জন্য ভারতের গরুর দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকতে হতো। বর্তমানে সেই দৃশ্যপট পুরোপুরি পাল্টে গেছে। কোরবানির পশুর কোনরূপ সঙ্কট স্পর্শ করবে না। কৃত্রিম সঙ্কটও সৃষ্টির সুযোগ নেই। দামও হবে তুলনামূলক কম। কারণ পশুহাটে প্রচুর গরু ও ছাগল উঠবে। এই তথ্য প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের।

সূত্রমতে, দেশীয় গরু ও ছাগলের উৎপাদন গত ৩/৪বছর অনেক বেড়েছে। সঙ্কট নেই বললেই চলে। তারপরেও ভারতের ব্যবসায়ীরা কোরবানি উপলক্ষে সীমান্তের করিডোর দিয়ে বাংলাদেশে গরু ঢোকানোর চেষ্টা করছে।
গতকাল প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) শেখ আজিজুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এবার কোরবানির জন্য সারাদেশে কোটিরও বেশি পশু প্রস্তত হচ্ছে। সম্পুর্ণ দেশীয় পশুতেই কোরবানির চাহিদা পুরণ হবে ইনশাআল্লাহ। যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, বগুড়া ও রংপুরসহ সারাদেশে বর্তমানে ৬৭হাজার খামার রয়েছে। এর বাইরেও প্রায় অর্ধকোটি কৃষক পরিবার গরু ছাগল পালন করেন। গত কয়েকবছর ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক ও খামারীরা ব্যাপক উদ্যোম নিয়ে গরু ও ছাগল লালন পালন করতে মাঠে নামেন। তিনি বললেন, সার্ভে এখনো শেষ হয়নি। তবে পশু উৎপাদন হবে এবার আশানুরূপ।

সূত্র জানায়, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষক ও খামারীদের কাছে গিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করছে। যেমন আগে মোটাতাজাকরণে ‘স্টেরয়েড’ ইনজেকশনসহ বিভিন্ন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হতো। তাতে গরুর চামড়ার নীচে পানি জমে ফুলে যেত। এখন ইউএমএস পদ্ধতি অর্থাৎ ইউরিয়া ও চিটা গুড় পানিতে গুলিয়ে বিছালী বা খাবারে ছিটিয়ে দিয়ে হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। সুষম খাবার এবং নিয়মিত কৃমিনাশকের ব্যবস্থাসহ পশুপালনের ক্ষেত্রে আর যত্মবান হওয়ার জন্য খামারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। যার কারণে গরু উৎপাদনে বিরাট সফলতা এসেছে।

প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ভবতোষ কান্তি সরকার জানালেন, নিরাপদ পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপৃষ্ট করার কার্যক্রম সার্বক্ষনিক নিবীড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় সাড়ে ৩শ’ কৃষক ও খামারীকে সিলেকশন দিয়ে সায়েন্টিফিক ওয়েতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সরকার এমন একটা প্রজেক্ট পাস করেছে। এতে আগামীতে আরো হৃষ্টপুষ্ট গরু ও ছাগল উৎপাদন হবে। তার মতে, আমাদের পশুসম্পদে বিরাট সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সুত্র জানায়, সারাদেশে গত কোরবানির ঈদে গরু ও ছাগল বেচাকেনা হয়েছে যার শতকরা ৯৮ ভাগই দেশীয়। মাত্র ২ ভাগ পশু ঢুকেছিল ভারত ও মায়ানমার থেকে। এবার সেই আশঙ্কাও নেই।

এদিকে, বেনাপোল, দর্শনা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ভারত থেকে গরু ঢোকানোর জন্য নানা কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। এপারের গরু ব্যবসায়ীদের প্রলোভন দেখাচ্ছে তারা। তবুও গরু ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত সজাগ তারা ভারতীয় গরু ক্রয়-বিক্রয় করবে না। সূত্রমতে, ভারতীয় গরু না ঢুকলে খামারীরার লাভবান হবেন, ব্যবসায়ীরাও সাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করতে পারবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
লোকমান ৯ জুলাই, ২০১৯, ১০:১৯ এএম says : 0
এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো খবর
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম ৯ জুলাই, ২০১৯, ১০:২২ এএম says : 0
ভারত থেকে গরু আমদানী বন্ধ করতে হবে।
Total Reply(0)
Zia Khokon ৯ জুলাই, ২০১৯, ১০:৩১ এএম says : 0
বিদেশী গরুর চেয়ে হাজার গুন ভাল আমাদের দেশে পালিত খামারীদের এই গরুগুলো। সুস্থ, মানসম্মত, সুন্দর পরিচর্যায় এই গরুগুলো লালন পালন করা হয়। আমরা দেশের মানুষ হিসেবে মনে করি বিদেশী গরুর চেয়ে দেশীয় গরু সবদিক থেকে ভাল। কিনতেও সাশ্রয়ী।
Total Reply(0)
Begum Fazilatunnesa ৯ জুলাই, ২০১৯, ১০:৩১ এএম says : 0
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে , ভাবতে খুব ভাল লাগছে ।
Total Reply(0)
Hadeul Rubel ৯ জুলাই, ২০১৯, ১০:৩২ এএম says : 0
প্রতিবেদনের জন্য ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
Rayhan Miah ৯ জুলাই, ২০১৯, ১০:৩৩ এএম says : 0
বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত গরু বানিজ্য।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন