সাতক্ষীরার আলিপুরে নৌকা আর ধানের শীষের পূণঃনির্বাচন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচটি ওয়ার্ডের পাঁচটি কেন্দ্রে এই পূণঃনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচটি ভোট কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ৯২২১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৫৯৭ জন। মহিলা ভোটার রয়েছেন ৪৬২৪ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, নৌকা প্রতীকের মোহাম্মাদ মহিয়ুর রহমান। আর ধানের শীষ প্রতীকের মোঃ আব্দুর রউফ।
কেন্দ্রগুলো হচ্ছে পরিষদের এক নম্বার ওয়ার্ডের বুলারআটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা, দুই নম্বার ওয়ার্ডের দক্ষিণ আলিপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল, তিন নম্বার ওয়ার্ডের আলিপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচ নম্বার ওয়ার্ডের আলিপুর সেন্ট্রাল সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও ছয় নম্বার ওয়ার্ডের আলিপুর দীঘিরপাড় সরকারি প্রাইমারি স্কুল।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আলিপুর ইউনিয়নে ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৯ টি ওয়ার্ডের চারটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার কেটে বাক্সে ঢোকানোসহ ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসাররা কমিশনে আবেদন করলে কেন্দ্রগুলোর ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। এই কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, চার নম্বার ওয়ার্ডের আলিপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল, সাত নম্বার ওয়ার্ডের মাহমুদপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল, আট নম্বার ওয়ার্ডের ভাড়–খালি সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও গাংনিয়া সিনিয়র মাদরাসা। পরবর্তীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে ২০১৭ সালের ১২ জুলাই এই চারটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নৌকা প্রতিকের মোহাম্মাদ মহিয়ুর রহমান পেয়েছিলেন ১৭২১ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতিকের মোঃ আব্দুর রউফ পেয়েছিলেন ৬০৫০ ভোট। এই চারটি কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল নিয়ে ধানের শীষের প্রার্থী মোঃ আব্দুর রউফ মহামান্য উচ্চ আদালতে আপিল করেন। অন্য পাঁচটি কেন্দ্রেও ব্যাপক অনিয়ম ও নির্বাচনি আচরণবিধি লংঘন করে ভোট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি ঘোষিত ফলাফল বাতিল এবং পাঁচ কেন্দ্রে পূণরায় ভোট গ্রহণের জন্য আবেদন করেন আদালতের কাছে। দীর্ঘদিন মামলাটি শুনানীর পর মহামান্য উচ্চ আদালত প্রধান নির্বাচন কমিশনকে বাকী পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ২৭ জুন নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামীকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলবে সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন অফিস আরো জানিয়েছে, নির্বাচনে কোনো ধরণের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। জনগণ যাতে নির্ভয়ে নির্বিঘেœ কেন্দ্রে যেয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন তার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট থাকবেন। এছাড়া, র্যাব,পুলিশ,বিজিবি,আনসার সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে দুইজন নির্বাচন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন