দীর্ঘ ১৪ বছর পর ভোটের মাধ্যমেই সিলেট মহানগর যুবলীগ নতুন নেতৃত্ব পেয়েছে। শনিবার মহানগর যুবলীগের সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন আলম খান মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মুশফিক জায়গীরদার।
দুপুর ২টায় মহানগর যুবলীগের সম্মেলনের ১ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকাল ৫টায় কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে ২য় অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতা নির্বাচিত করা হয়। তবে তার আগে কেন্দ্রীয় নেতারা সমঝোতার প্রস্তাব দিলেও শেষ পর্যন্ত ভোটের মাধ্যমেই নির্ধারণ হয় নতুন নেতৃত্ব।
মহানগর যুবলীগের সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, সদস্য শান্ত দেব। ভোটে আলম খান মুক্তি ৩৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। শান্ত দেব পান ৬৬ ভোট। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিক জায়গীর দার, যুবলীগ নেতা আব্দুল লতিফ রিপন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রায়হান চৌধুরী। ভোটে মুশফিক জায়গীরদার ৩৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। রিপন পান ৪১ ভোট আর রায়হান পান ১৮ ভোট।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ ওমর ফারুক চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো: হারুনুর রশীদ, হাফিজ উদ্দিন আহমদ মজুমদার এমপি, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েছ এমপি, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. বেলাল হোসাইন, ড. আহমেদ আল কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. লুৎফুর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে ২০০৪ সালে মহানগর যুবলীগে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সম্মেলনে সমঝোতার মধ্যে দিয়ে সৈয়দ শামীম আহমদ ও আবদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলে ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয়ভাবে আলম খান মুক্তিকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু পাঁচ বছরেও মহানগর সম্মেলন হয়নি। শেষ পর্যন্ত শনিবার (২৭ জুলাই) সম্মেলনের মধ্যদিয়ে সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন