ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারসহ ১৯ নেতাকর্মীর নামে চাঁদাবাজী ও মারধর করে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে । এ ঘটনায় নাজিম (৩২) ও নাজমুল মন্ডল (২৭) নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে যুবলীগ নেতা মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবী করেছেন।
বুধবার সকালে স্থানীয় যুবলীগের সাবেক নেতা বজলুর রহমানের স্ত্রী রাজীয়া বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন ।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে আশুলিয়ার বুড়িপাড়া এলাকায় নীট এশিয়া গামের্ন্টস সামনে ওই কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।
মামলার আসামীরা হলেন, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহব্বায়ক মোঃ কবির হোসেন সরকার (৪০), ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ সোহেল মোল্লা (৩২), যুবলীগের তোফায়েল আহম্মেদ তাপস মিয়া (২৮), সালাউদ্দিন মিয়া (৩০), হোসেন বেপারী (২৮), কামরুল দেওয়ান (৩০), হালিম বেপারী (৩০) রুবেল হোসেন (২৯), শামীম সরকার (২৮), নাজমুল মন্ডল (২৭), নাজিম (৩২), মোঃ শফিকুল ইসলাম (২০) ও আবু বকর (২৮)সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৬জন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানাগেছে, আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক ত্রাণ ও প‚র্ণবাসন সম্পাদক বজলুর রহমান বেশ কয়েক বছর যাবৎ নরসিংহপুর এলাকার নীট এশিয়া কারখানায় ঝুট ব্যবসা করে আসছে । তবে সম্প্রতি তার প্রতিপক্ষ গ্রুপটি ঝুট ব্যবসা দখল করার পায়তারা করে আসছে।
মঙ্গলবার বিকালে বজলু কারখানায় মালামাল বের করতে গেলে সেখানে আগে থেকেই উৎপেতে থাকা ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহব্বায়ক সোহেল মোল্লা, তাপস মিয়া, সালাউদ্দিন, হালিম, কামরুলসহ যুবলীগের প্রায় ১৭-১৮ জন লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় তারা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বজলুর হাত ও দুই পা এবং তার ভাই মজনু ব্যাপারীর হাত ভেঙ্গে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে ।
সাবেক যুবলীগ নেতা বজলুর রহমান বলেন, পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে তারা। এর আগেও যুবলীগের সাবেক আরেক নেতার হলিউড গার্মেন্টেস থেকে নেওয়া ঝুটের ট্রাক এক সপ্তাহ আটকে রেখেছিল তারা।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় এজাহার নামীয় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তবে মামলার প্রধান আসামী আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার মুঠোফোনে বলেন, চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি এসব ঘটনার সাথে জড়িত নই। যুবলীগের অন্য নেতারা আমার বিরুদ্ধে পুলিশকে দিয়ে মামলা নিথিভুক্ত করিয়েছে। তিনি বলেন, আমাকে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর পিছনে স্থানীয় কিছু নেতার হাত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন