চামড়া শিল্পনগরীর ক্রোম রিকভারি প্লান্টের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা থাকার পরও শিল্পনগরীর প্রধান প্রকৌশলী বিভিন্ন অনিয়মের দায় চাপাচ্ছেন চীনা ঠিকাদারের উপর। দূষিত পানি ভাল দেখানোর সুযোগ থাকলেও তা করা হচ্ছে না বলে সাফাই গাইলেন শিল্পসচিব।
চামড়া শিল্পনগরীর ক্রোম রিকভারি প্লান্টের তত্ত্বাবধান করছেন পঞ্চম শ্রেণি পাশ টেকনিশিয়ান। নিম্নমানের পাম্পের কারণে প্রায় অচল সিইটিপির ওয়াটার ইক্যুয়ালাইজেশন ট্যাংকও।
ক্রোমমিশ্রিত বর্জ্য উন্মুক্ত ডাম্পিং ইয়ার্ডে ফেলায় জনস্বাস্থ্যই নয়, হুমকির মুখে পড়ছে গোটা শিল্প। কারণ এল ডব্লিউ জি ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য পরিবেশের ন্যুনতম মানদণ্ডেও উত্তীর্ণ হতে পারেনি এই শিল্পনগরী।
সিইটিপির ৪ মডিউলের মধ্যে কখনও চলছে ২টি, কখনও ৩টি। কিন্তু ৪টি পাম্পের সবগুলোই নিম্নমানের হওয়ায় বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকে ওয়াটার ইক্যুয়ালাইজেশন ট্যাংক। চুক্তিতে ৩৮ ইঞ্চি পাইপলাইনের কথা বলা হলেও ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ইঞ্চি পাইপ।
এসব অনিয়মের দায় চীনা ঠিকাদারের ওপর চাপাচ্ছেন শিল্পনগরীর প্রধান প্রকৌশলী। যদিও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা তার কাছেই। আর শিল্পসচিবের দাবি, দূষিত পানি নিয়ে ছলচাতুরি করছে না সরকার। এই অবস্থায় কোরবানির বিপুল পরিমাণ চামড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অশনি সংকেত দেখছেন ট্যানারি মালিকরা।
শিল্প নগরীর প্রধান প্রকৌশলী ড. দেলোয়ার বলেন, ক্লোন সেপারেশন কিন্তু আগে রেগুলারই হত। গত ছয়মাস এটা কার্যকর ছিলো না।
কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এখনও রয়েছে ঘাটতি, স্বীকার করে নতুন ৩টি ডাম্পিং ইয়ার্ড করা হবে বলেও জানিয়েছে বুয়েট। যদিও ৮ম বারের মতো মেয়াদ বৃদ্ধির পরও চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্প শেষ করতে পারেনি বিসিক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন