যথেষ্ট উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পবিত্র ঈদুল আযহা ১১ আগষ্ট রবিবার উদযাপিত হয়েছে । যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের মসজিদ ও খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিশাল ঈদ জামাত নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় । প্রথম জামাতে প্রায় দশ হাজার এবং দ্বিতীয় জামাতে প্রায় পাঁচ হাজার মুসল্লির সমাগম ঘটেছে।
এছারা নিউইয়রক সিটির জামাইকা মুসলিম সেনটার, ব্রংকসের বাংলা বাজার জামে মসজিদসহ অন্যান্য মসজিদের আয়োজনে খোলা মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় । যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে যথেষ্ট উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সকলেই নামায আদায় করেন, কোরবানি করেন ।
এদিকে পবিত্র ঈদুল আযহাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ড রাজ্যের বিভিন্ন কোরবানীর মাঠে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সরব উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষনীয়। রোববার সকাল থেকেই প্রবাসীরা নিকটস্থ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শেষে ছুটে যান নির্দিষ্ট কোরবানীর মাঠে। খবর বাপসনিঊজযুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড রাজ্যের ক্লিনটন শহরের পিসকাটাওয়ে মিলার ফার্মে শতশত প্রবাসী বাংলাদেশীদের দিনভর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। সকাল হতেই পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে ফার্মে হাজির হন ভার্জিনিয়া ও মেরিল্যান্ড প্রবাসী রেদওয়ান চৌধুরী, হেনা চৌধুরী, জসিম উদ্দীন, শিখা আহমেদ, আকতার হোসেন, ফাহমিদা হোসেন, বোরহান আহমেদ, আসমা আহমেদ, মজনু মিয়া, মাসুমা মেরিন সহ তাদের বন্ধু বান্ধব। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন শিব্বীর আহমেদ, কবির পাটোয়ারী, পারভিন পাটোয়ারী, সাদেক খান, শিল্পী সাদেক, সাঈদ আবেদীন, নাছের চৌধুরী, বংশীবাদক মাজেদ আহমেদ, মিসেস মাজেদ, রাকিবুল ইসলাম বাপ্পী সহ আরো অনেকে।
একদিকে পছন্দের পশু গরু ছাগল কোরবানীতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে নারী পুরুষ সবাই। অন্যদিকে মহিলারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন নানা রকমের খাবার রান্নায়। সেমাই বুট মুরি পিয়াজু সিঙ্গারা তরমুজ, চা কফি ইত্যাদি নানা খাবারে সবাইকে আপ্যায়ন করেন। তাবু টাঙ্গিয়ে শিশুরা খেলাধুলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। খাবারের ফাঁকে ফাঁকে বাঁশীতে সুর তোলেন মোহাম্মদ মাজেদ। তার সাথে গলামিলান উপস্থিত সবাই।
পছন্দের পশু কোরবানীর পর নারী পুরুষ সবাই মিলে কোরবানীর মাংস কাটতে বসেন। পাশাপাশি চলে কোরবানী মাংস রান্না। সাথে পলাউ বিরিয়ানি খিচুড়ির আয়োজন। দুপুর গড়িয়ে বিকেলে কোরবানীর মাংস রান্না শেষে মাঠেই পরিবেশন করা হয় কোরবানীর ঈদের প্রথম খাবার। আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবকে সাথে নিয়ে কোরবানীর মাংস দিয়ে দুপুরের খাবার গ্রহন করেন সবাই।
দুপুরের খাবার শেষে সবার মধ্যে চা পান সুপারি পরিবেশন করা হয়। বিকেল বেলায় পরিবেশন করা হয় বিকেলবেলার সুস্বাধু নাস্তা। সব শেষে সবার মাঝে কোরবানীর মাংস বন্টন করে ঈদের আনন্দ আর দিনভর ক্লান্তদিন শেষে সবাই পবিত্র ঈদুল আযহার ত্যাগের আনন্দ নিয়ে ঘরে ফিরে যান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন