কে.এস. সিদ্দিকী
(২৬ মে প্রকাশিতের পর)
ইবলিস শয়তানকে ফেরেশতারা পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করবেন এবং খোদ মালাকুল মওত অর্থাৎ মৃত্যুর ফেরেশতা আজরাইলকেও মৃত্যুবরণ করতে হবে। কিন্তু তার আসল রূপে নয়, তার আসলরূপ পরিবর্তন করে তাকে দুম্বা কিংবা মেষে রূপান্তরিত করা হবে এবং হজরত ইয়াহিয়া (আ.) তা জবাই করবেন। চাঁদ ও সূর্যকেও নূরহীন বা জ্যোতিহীন করে ষাঁড় বা বলদে রূপান্তরিত করা হবে। অবশেষে আরশের নূরের সাথে তাদের নূর মিশে একাকার হয়ে যাবে। আগের সংখ্যায় এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এবার মানুষের এবাদত বন্দেগীর অবস্থা কী আকার ধারণ করে তা দেখা যাক।
মানব আকারে নামাজ
দুনিয়াতে মানুষ জীবনে যেসব কর্ম করেছিল, হাশরের ময়দানে সব কিছুর হিসাব করা হবে, সে আমলনামা উপস্থিত করার সময় নির্দেশ দেওয়া হবে যে, হাশরের ময়দানের মধ্যবর্তী অবস্থানে দোজখ ও বেহেশতকে উপস্থিত করা হোক। অতঃপর হাশরের ময়দানে আমলনামার হিসাব নেওয়া হবে। সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব এভাবে নেওয়া হবে যে, লোকটি জীবনব্যাপী কত নামাজ পড়েছে এবং কত নামাজ পড়া তার ওপর আদায় করা জরুরি ছিল এবং নামাজের জাহেরি (প্রকাশ্যে) ও বাতেনী (অপ্রকাশ্যে) আরকান ও আদাব কীভাবে পালন করেছে এবং কিরূপে নফলগুলো পড়েছে। আর যদি সে ফরজ নামাজগুলো তরক করে থাকে তাহলে একটি ফরজের স্থলে সত্তরটি নফল কায়েম হতে পারে। (অর্থাৎ একের বদলে সত্তর) এ সময় নামাজ মানবের আকারে উপস্থিত হবে। সেসব নামাজ খুশু খুজু (বিনয় একাগ্রতা) ছাড়া এবং আল্লাহর জিকির (স্মরণ) দুরূদ ও অজিফা বাদে পড়া হয়েছে, সেসব নামাজ হবে অসহায় দুর্বল এবং যেসব নামাজের বর্ণিত বিষয়গুলোর অনুসরণ করা হয়েছে, সেগুলোর অবস্থা আকার আকৃতি হবে অত্যন্ত সাজানো-সজ্জিত এবং খুব সুন্দর, চমৎকার। অতঃপর শারীরিক দৈহিক এবাদতগুলোর অবস্থা যেমনÑ রোজা, হজ, জাকাত, জিহাদ ইত্যাদির হিসাবও অনুরূপভাবে হবে। এতদ্ব্যতীত যোহদ (ধার্মিকতা) দ্বীনি শিক্ষা, খুন-জখম, পানাহার, বেচাকেনা, হককুল ইবাদ (বান্দার অধিকারসমূহ) ইত্যাদির হিসাব হবে। অত্যাচারীদের কাছ থেকে অত্যাচারিতদের প্রতিশোধ এমনভাবে নেয়া হবে, অত্যাচারী (জালেমের) যদি নেক কাজ থাকে, অত্যাচার অনুযায়ী সেখান থেকে মজলুমকে প্রদান করা হবে এবং জালেমের যদি নেক কাজ না থাকে, তাহলে মজলুমের গুনাহ জুলুম অনুযায়ী জালেমের কাঁধে চাপানো হবে। কিন্তু জালেমের ঈমান ও আকিদা বিশ্বাস হতে কিছুই কর্তন বা পরিবর্তে প্রদান করা হবে না। কিছু কিছু লোক হবে উচ্চ হৃদয়ের অধিকারী, তারা আল্লাহর দয়া অনুগ্রহর ওপর ভরসা করে নিজের নেক কাজগুলো কোনো বিনিময় ছাড়াই অন্যদের দান করবে। এ সম্পর্কে একটি বর্ণনা আছে যে, এমন দুই ব্যক্তি মীজান বা পাল্লার স্থানে হাজির হবে যে, তাদের একজনের ভালো ও মন্দ কাজগুলো সমান পরিমাণের এবং দ্বিতীয় ব্যক্তির কেবল একটি নেক কাজ রয়েছে। প্রথম ব্যক্তিকে আদেশ করা হবে যে, তুমি যদি কোথাও থেকে একটি নেক কাজ জোগাড় করতে পার তা হলে তোমার পাল্লা ভারি হবে এবং তুমি জান্নাতের অধিকারী হয়ে যাবে। সে বেচারা সকল লোকের কাছে অনুরোধ জানাবে কিন্তু কেউ অনুরোধে সাড়া দেবে না, সে ব্যর্থ হয়ে যাবে এবং ফিরে যাবে। যখন একটি মাত্র নেকির অধিকারী দ্বিতীয় ব্যক্তির নেকও বদকাজের সমান সমান অধিকারী প্রথম ব্যক্তির এ ব্যর্থতার কথা জানতে পারবে যে এগিয়ে আসবে এবং তাকে বলবে ভাই আমার তো একটি মাত্র নেক কাজ এবং তুমি এত গুণাবলীর অধিকারী অথচ কেউ তোমাকে একটি নেক কাজ দিয়ে সাহায্য করল না, আমাকে দেবে কে? আমার যে একটি নেকি আছে, এটিও তুমি নিয়ে যাও, যাতে তোমার কাজ হয়ে যায়, আল্লাহ আমার মালিক। আল্লাহ তাঁর অসীম দয়া করুণায় বলবেন, এ দুজনকে নিয়ে গিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করাও।
মোনাফেকদের শোচনীয় অবস্থা
মুসলমানগণ যখন পুলসিরাতে আরোহণ করবেন, তখন মোনাফেকীন অর্থাৎ কপট বিশ্বাসীরা অন্ধকারে পতিত হয়ে ফরিয়াদ করবে, ভ্রাতাগণ একটু থামুন, যাতে আপনাদের নূর জ্যোতির আলোকে আমরাও অগ্রসর হতে পারি। তার জবাবে বলবে একটু পেছনে চলে যাও যেখান থেকে আমরা জ্যোতি লাভ করেছি, সেখান থেকে তোমরাও জ্যোতি লাভ কর। অতঃপর তারা যখন পেছনের দিকে যাবে তথায় গভীর অন্ধকার ও ভীতিকর দৃশ্য দেখবে। অতঃপর অত্যন্ত বিচলিত হয়ে তারা ফিরে যাবে এবং দেখবে যে পুলসিরাতে মাথা হতে এক বিরাট প্রাচীর প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়ে এবং দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপর তারা বিনীতভাবে মুসলমানদের শরণাপন্ন হয়ে বলবে, দুনিয়ায় আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না যে, এখন তোমরা আমাদেরকে ত্যাগ করে চলেছ? মুসলমানরা জবাব দেবে অবশ্যই তোমরা তো আমাদের সাথে ছিলে কিন্তু প্রকাশ্যে এবং অন্তরে সন্দেহ পোষণ করে আমাদের ব্যাপারে মন্দ ও কাফেরদের সম্পর্কে কল্যাণ কামনা করতে সুতরাং এখন তোমাদের উচিত হবে যাদের সাথে ছিলে, তাদের সাথে মিলে যাওয়া। এ সময় অগ্নিশিখা তাদের ঘিরে ফেলবে এবং জাহান্নামের সর্বনি¤œ স্তরে নিয়ে যাবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘ইন্নাল মোনাফিকীনা ফিদ দারকিল আসফালি মিনান্নার।’ অর্থাৎ মোনাফেক (মুসলমানদের অনিষ্ট কামনাকারী এবং কাফেরদের কল্যাণকামী)গণ জাহান্নামের সর্বনি¤œ স্তরে অবস্থান করবে। বিদ্যুৎ ও বাতাসের গতিতে চলমানগণ পুলসিরাত অতিক্রম করে বলতে থাকবেন, আমরা শুনেছিলাম যে, পথিমধ্যে দোজখ পড়বে, কিন্তু আমরা তো দেখলামও না, আর যেসব লোক নিরাপদে অতিক্রম করবে তারাও পুলসিরাত হতে অবতরণ করে হাশরের ময়দানে তাদের সাথে মিলিত হবে। দুনিয়াতে যারা পরস্পর অভিযোগ করত, তারা সবাই এক হয়ে যাবে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) মদিনা মোনাওয়ারায় হিজরত করার পর একদল মোনাফেক বা কপট বিশ্বাসী লোকের সাক্ষাৎ পান, প্রকৃতপক্ষে ওরা ছিল ইহুদি। ওরা প্রকাশ্যে মুসলমান হওয়ার দাবি করলেও গোপনে মুসলমানদের ক্ষতি ও ইসলামের সর্বনাশ করার অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিল। ওহুদ যুদ্ধের সময় মোনাফেকদের বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা ইতিহাস খ্যাত। কোরআনে মোনাফেকদের নিন্দা সমালোচনায় বহু আয়াত রয়েছে।
মদিনার মোনাফেক সম্প্রদায়
প্রসঙ্গক্রমে মদিনার মোনাফেক সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক পরিচয়টাও জেনে রাখা দরকার। যারা মুসলমানদের ও ইসলামের ক্ষতিসাধনের চক্রান্তে শুরু থেকে লিপ্ত এবং তাদের গুরু ঠাকুর ছিল মদিনার ইহুদিরা। তাদের (ইহুদিদের) ভাবশিষ্য ও প্রেতাত্মারা ইসলামের ও মুসলমানদের অস্তিত্ব বিনাশের জন্য ইসলামী রাষ্ট্রের পতনের জন্য বিভিন্ন যুগে আত্মপ্রকাশ করে নিজেদের মোনোফেকি চরিত্রের উন্মেষ ঘটিয়েছে এবং ইতিহাসে কলঙ্কের কালিমা লেপন করেছে। তাদের নাম অনেকের জানা আছে অনেকের জানা নেই। ইসলামের খেলাফত যুগ থেকে সর্বশেষ মোগল স¤্রাট বাহাদুর জাফরের পতন কাহিনী ইহুদি ভাবাপন্ন চিন্তানায়কও শাসকদেরই সৃষ্টি করা। মদিনায় মোনাফেকদের কথায় ফিরে আসা যাক। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের পর হিজরি দ্বিতীয় সালে ঐতিহাসিক মদিনা সনদ তথা বিশ্বের প্রথম লিখিত দলিল ছিল মদিনায় শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার রক্ষা কবচ। মদিনা সনদে স্বাক্ষরদানকারীদের মধ্যে ইহুদিরাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি পক্ষ। মদিনায় শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বিভিন্ন দল ও পক্ষের মধ্যে বিরাজমান ঝগড়া-বিবাদ বন্ধ হয়ে যায় এবং সাহাবাগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং অনেকটা শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। কিন্তু এ পরিস্থিতি শয়তানের কাম্য ছিল না, ছিল তার জন্য দারুণ উদ্বেগজনক। পূর্ব হতেই মদিনায় ইহুদিদের মধ্যে খল চরিত্রের লোকের অভাব ছিল না। ইবলিশি প্ররোচনায় তাদের মধ্যে হতে একদল মোনাফেক তথা বিশ্বাসঘাতক কপট বিশ্বাসী লোকের উদ্ভব ঘটে, যা ‘মোনাফিকীন ফেতনা’ নামে ইতিহাস খ্যাত।
মক্কার কাফের ও মোশরেকদের কথা বাদ দিলেও মদিনার সংখ্যাগরিষ্ঠ বড় দল ইহুদিদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাদের মধ্যে এমন বহু লোক ছিল, যারা প্রকাশ্যে ঈমান আনলেও ছিল মুসলমানদের চরম শত্রু। তারা চুক্তি সম্পাদন করে তা ভঙ্গ করতে দ্বিধা করত না, চুক্তির প্রতি আস্থাহীনতার ফলে যখন খুশি চুক্তি বাতিল ঘোষণা করত, দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া তাদের মধ্যে মোনাফেকদের একটি দলের সৃষ্টি হয়। এরা রাসূলুল্লাহ (সা.) কিংবা মুসলমানদের সাথে যখন দেখা সাক্ষাৎ ও মেলামেশা করত, তখন ইসলামের প্রতি পূর্ণ ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করত, কিন্তু যখন আলাদা হয়ে যেত তখন ইসলামের উপহাস ও ক্ষতিসাধনে লিপ্ত হতো। সূরা বাকারা এর এক বিরাট অংশে এ মোনাফেকদের বর্ণনা রয়েছে। এসব লোক কখনো রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি মিথ্যা আরোপ করত কখনো ইসলামের কোনো কোনো শিক্ষার ভুল অর্থ করত, বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং কখনো পূর্ববর্তী নবীগণের আদর্শ শিক্ষায় গলদ ও বিভ্রান্তি মিশিয়ে মুসলমানদের মধ্যে ভ্রান্ত ব্যাখ্যা প্রচার করত। ধোঁকাবাজি, প্রতারণা এবং অঙ্গীকার ভঙ্গ করা ছিল তাদের মজ্জাগতও সহজাত অভ্যাস। এসব বিষয় প্রবলভাবে বিদ্যমান ছিল ইহুদিদের মধ্যে। মদিনার মূর্তি পূজারিদের মধ্যেও এসব অনৈতিক আচার-আচরণের প্রভাব পরিলক্ষিত হতো ইহুদিদের সাথে ওঠা-বসার ফলে। প্রকাশ্যে মুসলমানদের বিরোধিতা করার সাহস মোনাফেকদের না থাকলেও তারা মুসলমানদের পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টায় সর্বদা ব্যস্ত ছিল। এ মোনাফেকরা খাঁটি মুসলমানদের পক্ষ হতে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে এবং তাঁর পক্ষ হতে মুসলমানদের মধ্যে খারাব ধারণা সৃষ্টিতে সক্রিয় ও সচেষ্ট ছিল? তারা অন্য আরব গোত্রগুলোকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উত্তেজিত ও ক্ষেপিয়ে তোলার প্রয়াস চালাত এসবই ছিল মোনাফেকদের কাজ।
এ মোনাফেকের দল বনি মোছতালেক যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনের সময় উম্মুল মোমেনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-এর প্রতি অপবাদ দেয়, যার জবাবে কোরআনে ইফকের আয়াতগুলো নাজেল হয়। তবুক যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনের সময় নরাধম মোনাফেক চক্র রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে শহীদ করার পরামর্শ ও ব্যবস্থা করেছিল, যে সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা তাঁকে অবহিত করেন। এ কমবখত দুরাচারীরা মসজিদে জেরার নির্মাণ করে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির প্রয়াস চালিয়েছিল এবং ইসলামের বিরুদ্ধে একটি কেন্দ্র স্থাপনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তবুক যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনের পর আল্লাহতায়ালা তাদের জঘন্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে অবহিত করেন এবং তাদের নামও জানিয়ে দেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) শরিয়তের প্রতি সম্মান প্রদানপূর্বক তাদের প্রকাশ্য ইসলামের প্রতি স্বীকারোক্তির কারণে সব সময় তাদেরকে ক্ষমা করে দিতেন। এমন কি তাদের নামাজে জানাজাও পড়তেন, কিন্তু পরে আল্লাহর পক্ষ হতে তাদের জানাজা পড়াও নিষেধ করে দেওয়া হয়। তবুক হতে প্রত্যাবর্তনের সময় রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে হত্যার প্রচেষ্টাকারী যে বারোজন মোনাফেক সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে অবহিত করা হয়েছিল, তাদের নাম সাহাবি হযরত আবু হোজায়ফা (রা.)-কেও জানিয়ে দেয়া হয়। এ জন্য তার উপলব্ধি হয়েছিল ছাহেবে সিররে রাসূল (সা.) অর্থাৎ হুজুর (সা.)-এর ভেদ জ্ঞাত। সুতরাং যখন কোনো সন্দেহভাজন লোকের মৃত্যু হতো তখন হজরত উমর (রা.) জানতে চাইতেন, হযরত হোজায়ফা (রা.) তার জানাজা পড়েছেন কিনা। কেননা মৃতদের মধ্যে কেউ যদি মোনাফেকদের মধ্যে হতো, হোজায়ফা (রা.) তার জানাজার নামাজ পড়তেন না, এ জন্য মোনাফেকদের পরিচয় জানা থাকা দরকার।
হিজরি তৃতীয় সালের শওয়াল মাসে সংঘটিত ওহোদ যুদ্ধের জন্য হুজুর (সা.) এক হাজার সাহাবাকে সঙ্গে নিয়ে যাত্রা করেন। মদিনায় ইমাম হিসেবে নিযুক্ত করেন হজরত ইবনে উম্মে মাকতুম (রা.)-কে। মদিনা ও শওত নামক স্থানের মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছার পর আবদুল্লাহ ইবনে ওবাই তার তিনশ মোনাফেক সঙ্গীসহ আলাদা হয়ে যায়। এটি ছিল মোনাফেকদের মুসলমানদের সাথে প্রথম প্রকাশ্য বিশ্বাসঘাতকতার বড় ঘটনা। ইসলামকে অঙ্কুরেই বিনাশ সাধনের জন্য মোনাফেকদের ষড়যন্ত্র চক্রান্তের বিরুদ্ধে আল্লাহতায়ালা কোরআনে মুসলমানদের সতর্ক থাকার জন্য বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন। (চলবে)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন