জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা বিষয়ে বাংলাদেশের আগ বাড়িয়ে কিছু বলার বা করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, ভারত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে সংকট আরও বাড়িয়ে দিল। বিষয়টি নিয়ে ভারতেই সমালোচনা শুরু হয়েছে; অমর্ত্য সেন, অরুন্ধতী রায়ের মতো ব্যক্তিরাও বলছেন-এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিৎ ছিল। তবে বাংলাদেশ চাইবে জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি বজায় থাকুক এবং সেখানে যা ঘটছে তাতে কাশ্মীরি জনগণের সম্মতি থাক।
জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করে গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়ে বলেছে-ভারত সরকারের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ সর্বদা নীতিগতভাবে সমর্থন জানিয়েছে যে, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি উন্নয়নের বিষয়টিও সব দেশের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক গত মঙ্গলবার অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়। এর পর গতকাল বুধবার এ বিবৃতি দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক ইমতিয়াজ বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে যে সংকট ছিল, ৩৭০ অনুচ্ছেদ ধারা বাতিল করে তা আরও বিস্তার লাভ করেছে। বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করছে ভারত। হয়ত এটি আরও বাড়িয়েছে তারা। আমার ব্যক্তিগত ধারণা যে, জঙ্গিবাদ এখানে চলছিল তার জন্য শুধু পাকিস্তানকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এখানে কাশ্মীরি জনগণের দ্বারাই একটি জঙ্গিবাদ তৈরি করা হয়েছিল। এখানে সব কিছুই যে পাকিস্তান বাইরে থেকে করছে, এটা বলা ঠিক নয়। সৈন্য দিয়ে এ অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ যে করা যাবে না তার সমালোচনা খোদ ভারতেই শুরু হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ভারত সরকার ভেবেছে ৩৭০ ধারা রেখে ৪০ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান করা যায়নি। তাই এ ধারা তুলে দিয়ে একটি সমাধান বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর ফলে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। গত নির্বাচনে কাশ্মীরের বাইরে জনগণের ভোটে একটি বিশাল সমর্থন ছিল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার। কিন্তু শেষ বিচারে জম্মু কাশ্মীরের জণগণের বিরুদ্ধে গিয়ে সিদ্ধান্ত ভালো ফল বয়ে আনবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন