গোপালগঞ্জে পৌরসভার পানি শোধনাগারের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার জ্বলে যাওয়ায় গত দু’দিন ধরে শহরে পানি সরবরাহ করতে পারছেনা পৌর কর্তৃপক্ষ। এ কারণে প্রায় দু’লাখ পৌরবাসীর মধ্যে পানির জন্য হাহাকার চলছে। এতে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। মানুষ একটু পানি পেতে বিভিন্নস্থানে ধরণা দিচ্ছে। পানি নিয়ে পৌরবাসীর দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার পানি সরবরাহ বিভাগ জানিয়েছে, গোপালগঞ্জ পৌরসভায় প্রায় দু’লাখ মানুষ বসবাস করে। এ বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠি পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির ওপর নির্ভরশীল। এ পানি দিয়েই পৌরবাসী প্রয়োজনীয় সব কাজ সম্পন্ন করেন। গত বুধবার রাতে গোপালগঞ্জ পৌর পানি শোধনাগারের ৫০০ কেভি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার জ্বলে যায়। সেই সাথে পুড়ে গেছে সঞ্চালন লাইনের তার। এ কারণে বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবার তারা শহরে পানি সরবরাহ করতে পারেনি। তবে তারা শনিবার সকাল থেকে পানি সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছে।
নিচুপাড়ার গৃহবধূ শানিনূর বেগম বলেন, সপ্তাহ জুড়ে পৌর কর্তৃপক্ষ চাহিদার তুলনায় কম পানি সরবরাহ করেছে। আমরা ৫/৬ দিন ধরে পানি পাইনা। পানি ছাড়া জীবন চলেনা। তাই অর্ধ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পানি আনতে হচ্ছে। এতে খরার কাজ চলছে। কিন্তু সংসারের অন্যান্য কাজের পানি নেই।
গাহাটা এলাকার বাসিন্দা সমীর রায় বলেন, রান্নাঘর, রিজার্ভ ট্যাংঙ্কি, ওভারহেড ট্যাংঙ্কি ও বাথরুমে পানি নেই। রাথরুম করতে পারছিনা। এখন গোসল অন্যত্র গিয়ে সারতে হচ্ছে। পানি কিনে খাচ্ছি। পানি সঙ্কট চরম আকার ধারণ করছে।
মরহুম এমপি অ্যাডভোকেট. কাজী আব্দুর রশীদের বড় ছেলে আইটি স্পেশালিস্ট কাজী হারুন অর রশীদ মিরন বলেন, শহরের উদয়ন রোডে আমাদের বাড়িতে একটি ডিপ টিউবওয়েল আছে। এখান থেকে সারা বছরই মানুষ সুপেয় পানি সংগ্রহ করে। গত ২ দিন ধরে পৌর পানি সরবরাহ নেই। তাই পানি সংগ্রহ করতে শহরবাসী আমাদের বাড়িতে ভীড় করেছেন। সেখান থেকে গভীর নলকূপ চেপে শত শত মানুষ খাবার পানি সংগ্রহ করছে।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. নাজমুল হাসান নাজিম বলেন, পানি শোধনাগারের ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়েছে। তাই বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আমরা পৌরবাসীকে পানি দিতে পারিনি। ইতিমধ্যে ট্রান্সফরমার ঠিক করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে পানি সরবরাহ করতে পারবো। এটা নিশ্চিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন