শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পবিত্র আশুরা সংখ্যা

আশুরার গুরুত্ব ও শিক্ষা

আতিকুর রহমান নগরী | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মুহাররম হিজরি বছরের প্রথম মাহিনা। পবিত্র কুরআনে কারিমে এ মাসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা তাওবার ৩৬ নং আয়াতে বর্ণিত যে মাসগুলোতে যুদ্ধ-বিগ্রহ হারাম করা হয়েছে তার মধ্যে মুহাররম অন্যতম। অনেক কারণে এ মাসটি মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বয়ং রাসুল সা. নিজে এ মাসকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রমজানের পরে সর্বোত্তম রোজা হলো আল্লাহর প্রিয় মুহাররম মাসের সাওম এবং ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম সালাত হলো রাতের নামাজ’। অন্যদিকে মানবতার মুক্তির দূত, সকল নবী-রাসুলের নেতা এবং আমাদের পথ প্রদর্শক হযরত মুহাম্মদ সা. ধরাবাসীর প্রতি তার দায়িত্ব অর্থাৎ মানুষকে শান্তির ধর্ম ইসলামের পথে আহ্বান করার কাজ শুরু করেছিলেন মুহাররম মাসে। পবিত্র কুরআনে আরবী ১২ মাসের মধ্যে মুহাররম, রজব, জিলক্বদ ও জিলহজ মাসকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়েছে এবং কুরআনের জীবন্ত ব্যাখ্যা গ্রন্থ অর্থাৎ বিভিন্ন হাদিস শরীফে এ মাসগুলোর স্বতন্ত্র ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। মুহাররম মাসের ১০ তারিখ গোটা মুসলিম বিশ্বের কাছে পবিত্র ‘আশুরা’ নামে পরিচিত। আশুরা ও মুহাররাম শব্দদ্বয় শ্রবণের সাথে সাথে আমাদের মানসপটে ভেসে ওঠে এক ভয়ঙ্কর, বীভৎস, নিষ্ঠুর, নির্মম ও ইসলামের ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। রাসূলুল্লাহ সা.-এর নয়নের পুতুলী, কলিজার টুকরা, খাতুনে জান্নাত নবীনন্দিনী হযরত ফাতেমা রা:-এর আদরের দুলাল হযরত হোসাইনের কারবালার প্রান্তরে শাহাদাতের মর্মন্তুদ ঘটনা; যা এ পৃথিবীর এক করুণ ইতিহাস। বিশ্বের সকল মুসলিম নর-নারী আজও ধর্মীয় রীতিনীতির মাধ্যমে দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণ করে। হযরত মুহাম্মদ সা.-এর ওফাতের মাত্র পঞ্চাশ বছর পর ফোরাতের তীরে কারবালা কঙ্করময় প্রান্তরে মুহাম্মদ সা.-এর অন্যতম প্রিয় দৌহিত্র হযরত হোসাইন রা. সপরিবারে তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে মুআবিয়া পুত্র ইয়াজিদের হাতে শাহাদাৎ বরণ করেন। এ অধ্যায়কে ইসলামের ইতিহাস আজও বেদনার রক্ত দিয়ে লেখা রয়েছে। তবে কারবালার এ করুণ ট্র্যাজেডির পরেই ইসলাম নবরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে বলেই ইসলামী স্কলারদের বিশ্বাস। তাদের মতে, ‘কারবালার ত্যাগের পরেই ইসলাম জিন্দা হয়েছে’। কারবালাই মুসলমানদের শিক্ষা দিয়ে গেছে, মর্সিয়া কিংবা ক্রন্দন নয় বরং ত্যাগ চাই। মুসলামানদের কাছে আশুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাপক গভীর। প্রিয় নবীর অতি আদরের দৌহিত্র হযরত হোসাইন রাফোরাতের উপকূলে ইয়াজিদ বাহিনী কর্তৃক আহলে বাইয়াতসহ কারবালার কঙ্করময় প্রান্তরে শাহাদাতের ঘটনাকেই আমরা মুহাররম ও আশুরার একমাত্র ঐতিহাসিক ঘটনা বলে মনে করে থাকি। মূলত আশুরার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের সাথে শুধু কারবালার নিষ্ঠুরতার ঘটনাই জড়িত নয়। বরং কারবালার আহলে বাইয়াতের শাহাদাতের ঘটনা আশুরার শেষ ও চূড়ান্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা মাত্র। ইসলামের ইতিহাস অনুসারে এ দিনটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনটি একটি পবিত্র দিন। কেননা এ দিনেই আসমান ও জমিন সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম আ.কে সৃষ্টি করা হয়েছে। ১০ই মুহাররম আল্লাহ নবীদের স্ব-স্ব শত্রুর হাত থেকে আশ্রয় প্রদান করেছেন। এই দিনে নবী মুসা আ.-এর শত্রু ফেরাউনকে নীল নদে ডুবিয়ে দেয়া হয়। হযরত নুহ আ.-এর কিস্তি ঝড়ের কবল হতে রক্ষা পেয়েছিল এবং তিনি জুদি পর্বতশৃঙ্গে নোঙ্গর ফেলেছিলেন এই দিনেই। এই দিনে হযরত দাউদ আ.-এর তাওবা কবুল হয়েছিল, নমরুদের কবল থেকে হযরত ইব্রাহীম আ. উদ্ধার পেয়েছিলেন, হযরত আইয়ুব আ. দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত ও সুস্থতা লাভ করেছিলেন। এদিনে হযরত ঈসা আ.কে আল্লাহ তায়ালা উর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নিয়েছিলেন। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে ‘১০ই মুহাররম কেয়ামত সংঘটিত হবে’ (আল হাদিস) ।

হিজরি ৬০ সনে পিতার মৃত্যুর পর ইয়াজিদ বিন মুআবিয়া নিজেকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসেবে ঘোষণা করে। অথচ ইয়াজিদ প্রকৃত মুসলমান ছিল না বরং মোনফেক ছিল। সে এমনই পথভ্রষ্ট ছিল যে, ইসলামে চিরতরে নিষিদ্ধ মধ্যপানকে সে বৈধ ঘোষণা করেছিল। অধিকন্তু সে একই সাথে দুই সহোদরাকে বিবাহ করাকেও বৈধ ঘোষণা করেছিল। শাসক হিসেবে সে ছিল স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী। এ সব কারণে হযরত হোসাইনকে শাসক হিসেবে ইয়াজিদকে মান্য করতে অস্বীকৃতি জানান এবং ক‚ফাবাসীর আমন্ত্রণ ও ইসলামের সংস্কারের লক্ষ্যে মদিনা ছেড়ে মক্কা চলে আসেন। এখানে উল্লেখ্য যে, উমাইয়াদের শাসনামলে ইসলাম তার মূল গতিপথ হারিয়ে ফেলেছিল। হযরত ইমাম হোসাইন রা. মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কারবালার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এ সময় উমর ইবনে সা’দ আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারাবালায় প্রবেশ করে। কয়েক ঘণ্টা পর ইসলামের জঘন্য দুশমন শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদির নেতৃত্বে আরো বহু নতুন সৈন্য এসে আবি ওক্কাসের বাহিনীর সাথে যোগ হয়। অবশেষে বেজে ওঠে যুদ্ধের দামামা। এ যুদ্ধ সত্য এবং মিথ্যার দ্ব›েদ্বর অবসান ঘটানোর সংগ্রাম। কারবালায় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়। এই অসম যুদ্ধে ইমাম হোসাইন রা. এবং তার ৭২ জন সঙ্গী শাহাদৎ বরণ করেন। শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদি নিজে ইমাম হোসাইনের কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে তাকে হত্যা করে। আর সে বেদনাহত দিনটা ছিল হিজরি ৬১ সালের ১০ই মুহাররম । (তথ্যসূত্র-উইকিপিডিয়া)

ইহুদিরা আশুরা উপলক্ষে মুহাররম মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখে। শিয়া সম্প্রদায় মর্সিয়া ও মাতমের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করে। আশুরা উপলক্ষে ৯ এবং ১০ মুহাররম তারিখে অথবা ১০ এবং ১১ মুহাররম তারিখ রোযা রাখা সুন্নত। আল্লাহর রাসূল সা. এ তারিখে রোজা পালন করতেন তবে তার সাহাবীদের পালন করতে আদেশ দেননি। এছাড়া মুসলমানরা এদিন উত্তম আহারের চেষ্টা করে। মুহাররম বা আশুরা আজ গোটা মুসলিম বিশ্বে উদযাপিত হচ্ছে কিন্তু এর মূল শিক্ষা ও তাৎপর্যকে হারিয়ে আজ আমরা এ দিবসটিকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিকৃতভাবে পালন করছি। আজকে আমাদের অবস্থা হয়েছে সমাজবিজ্ঞানের জনক ইবনে খালদুন উচ্চারিত উক্তির মতো। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বের যে ঘটনা যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যে ব্যক্তি যত বেশি মর্যাদসম্পন্ন, সে ঘটনা ও ব্যক্তিত্ব তত বেশি কিংবদন্তি ও রূপকথার আবরণে আচ্ছাদিত এবং তত বেশি ভুল বোঝাবুঝিতে নিমজ্জিত’ (কিতাবুল হবার মুকাদ্দামায়ে ইবনে খালদুন)। জার্মান কবি গ্যাটে বলেছেন, ‘ইতিহাসের যে ঘটনা ও ব্যক্তিত্ব যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা তত বেশি রূপকথার প্রলেপে আচ্ছাদিত’। তেমনিভাবে আশুরা ও কারবালার ঘটনা নিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতিরঞ্জন হয়েছে কিংবা আজও হচ্ছে। তাযিমের নামে শিয়া স¤প্রদায় ১০ই মহাররমের দিন যা করে তা প্রকৃতপক্ষেই বাড়াবাড়ি। মাত্র একদিনের জন্য শরীরের রক্ত বের করে বাকি দিনগুলোতে আশুরার মহত্ত¡কে ভুলে থাকা ইসলামের আদর্শ হতে পারে না। কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনায় মুসলমানদের জন্য ব্যাপক শিক্ষা রয়েছে। (ক) কারবালার ঘটনা মুসলমানদের মিথ্যার সাথে আপস না করা এবং সত্যের পতাকাকে সমুন্নত রাখার চেতনাকে জাগ্রত রাখার শিক্ষা প্রদান করে। মহানবী সা.-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত হোসাইন রা.-এর আহলে বাইয়াত ফোরাত নদীর উপকূলে কারবালার প্রান্তরে শাহাদাতের ঐতিহাসিক ঘটনার প্রথম শিক্ষা হচ্ছে একজন প্রকৃত সত্যাশ্রয়ী নিষ্ঠাবান খাঁটি মুমিন ও মর্দে মুজাহিদ কখনও অন্যায়ের সাথে আপস করে না। প্রিয় নবী সা.-এর চিরন্তন বাণী, ‘আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সকল অবস্থায় সত্য কথা বলা আর সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো নির্যাতন ও অপবাদকারীর অপবাদ ও নির্যাতনে ভয় না করা’। হযরত হোসাইন রা. কারাবালা প্রান্তরে নিজের জীবন ও স্বল্প দুধের শিশু আব্দুল্লাহ (আজগর)-কে এবং কিশোর কাসেমসহ ৭২ জন আহলে বাইয়াতের কারবালার কঙ্করময় প্রান্তরে তাজা খুনে রঞ্জিত করে কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ সত্যের পতাকাকে সমুন্নত করার লক্ষ্যে আল্লাহ পরিপূর্ণ দ্বীনকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা ও রাখার উদ্দেশ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জীবন বিলিয়ে দেয়ার চেতনার ও প্রেরণাকে চির জাগ্রত রেখে গেছেন। (খ) কারবালার ঘটনা পরিপূর্ণ দ্বীন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জিহাদের শিক্ষা দেয়। (গ) অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের চেতনা জাগ্রত করে (ঘ) কারবালার অন্যতম শিক্ষা হলো, অসৎ নেতৃত্বের পরিবর্তে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ঈমানের দাবি। হযরত হোসাইন রা. কারবালার নির্মম শাহাদাৎ মূলত অসৎ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নিছক রাজনৈতিক আন্দোলন বা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার আলোচনা নয় বরং প্রতিটি মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈমানের অপরিহার্য দাবি, এ সত্যের মহান শিক্ষা ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রেখে গেছেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপদে আল্লাহর পরিপূর্ণ দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও ঈমানদার, মুত্তাকী, সৎ কর্মশীল ও যোগ্যতম ব্যক্তিদের নিজেদের শাসক ও নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা মুসলিম উম্মাহের জন্য নামাজ ও রোজার মতো ফরজে আইন; এ মহান চেতনা হযরত হোসাইন রা. এবং আহলে বাইয়াত নিজেদের জীবন বিলিয়ে জাগ্রত রেখেছেন। (ঙ) কারবালার ঘটনা জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জিহাদ, ত্যাগ ও কুরবানির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। কবির ভাষায়, ‘ফিরে এলো আজ সেই মুহাররম মাহিনা/ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না’। (ঙ) কারবালার ঘটনাই প্রকৃত জয়-পরাজয়ের দৃষ্টিভঙ্গির উজ্জ্বল দৃষ্টাš। ৬১ হিজরির ১০ই মুহাররম কারবালায় ইমাম হোসাইন রা. মুসলিম উম্মাহর কাছে জয়- পরাজয়ের দৃষ্টিভঙ্গি ও তাৎপর্য সম্বলিত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন। ইয়াজিদের সেনাবাহিনী যুদ্ধের ময়দানে জয়ী অথচ মু’মিনের হৃদয় রাজ্যে হযরত হোসাইন রা. বিজয়ের মধ্য দিয়ে ভূষিত ও অধিষ্ঠিত রয়েছেন। আজকের মুসলিম উম্মাহর মধ্যে হযরত মুয়াবিয়া রা.-এর সন্তান হওয়া সত্তে¡ও ইয়াজিদের নামের সাথে কোনো মুসলমানই রাদি আল্লাহু পাঠ করে না। আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদকে কেউ রাহমাতুল্লাহ বলে না। অথচ হযরত হোসাইন রা.-এর শাহাদাতের আজ প্রায় দেড় হাজার বছর পরও প্রতিটি মুসলিমের হৃদয় বিগলিত, প্রতিটি নয়ন থেকে অশ্রু নির্গত হয়। প্রতিটি মুখ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু শব্দ উচ্চারিত হয় । ইয়াজিদ ও আব্দুল্লাহকে প্রতিটি ব্যক্তি ধিক্কার প্রদান করে। মানুষের হৃদয় রাজ্যে যিনি জয়ের আসনে অধিষ্ঠিত হন তিনিই সত্যিকারের বিজয়ী। আল্লাহর পথে জীবন দিয়ে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করে যারা বিনা হিসাবে জান্নাত প্রাপ্তির নিশ্চয়তা লাভ করে তারাই তো সত্যিকারের বিজয়ী। তাদের বিজয়-ই- তো সবচেয়ে বড় বিজয়। প্রকৃতপক্ষে কারবালার এ হৃদয়বিদারক ঘটনা যুগে যুগে মুসলিম উম্মাহর সামনে সত্যের পথে জিহাদের চেতনাকে সমুন্নত রেখেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন