যারা ক্রমাগত মানসিক চাপে থাকেন তাদের শরীরে কর্টিসল হরমোন বেশি পরিমানে উৎপন্ন হয়ে থাকে, যা মাড়ি ও শরীরের ক্ষতি করে থাকে। ক্রনিক স্ট্রেস বা মানসিক চাপ সব সময়ই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। চুমুর মাধ্যমে দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ কমে যায় এবং এর মাধ্যমে আপনার মনের মধ্যে কোলাহল ভাব কেটে যায়। চুমু স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল কমিয়ে দেয় এবং ব্রেনে সেরোটিনিন এর পরিমান বাড়িয়ে দেয়। চুমু আমাদের মুড বা মনের স্বাভাবিক অবস্থার উন্নতি ঘটায় এন্ডোরফিন এর পরিমান বাড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। এন্ডোরফিন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা এবং মানসিক চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এন্ডোরফিন বলতে বুঝায় এন্ডোজেনাস মরফিন যা প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা কমায়।
চুমুর মাধ্যমে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরিত হয়ে থাকে। অক্সিটোসিনও মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়। চুয়িংগাম মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে থাকে। ঘরের বাহিরে বেড়াতে যাওয়াও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। দূরে কোথাও যেতে না পারলে ঘরের কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসলেও আপনার ভাল লাগবে। ল্যাভেন্ডার সৌরভ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই বাসায় এবং অফিসে ল্যাভেন্ডার সৌরভের এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন। মানসিক চাপ কমাতে আপনি শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত ব্যায়াম করতে পারেন যা দ্রæত আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া মেডিটেশন এবং নামাজ আপনার মানসিক চাপ অবশ্যই কমিয়ে দিবে, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। ভাল ভাল গান-গজল শুনলেও আপনার মানসিক চাপ কমে যাবে। একা একা থাকবেন না। আপনার সমস্যার কথা আপনার আপন কাউকে বা কোনো বন্ধুকে খুলে বলুন যাকে বিশ্বাস করা যায়। দেখবেন, আপনার মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা অনেক কমে যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে মনের কষ্ট এমন কাউকে বলা যাবে না যাতে মানসিক চাপ আরো বেড়ে যায়।
নিজেকে কখনো একা ভাববেন না। সব সময় মনে রাখবেন আপনার সাথে কেউ না কেউ আছে। আর যদি কেউ না থাকে তবে মনে রাখবেন আল্লাহ সব সময় আপনার পাশে আছেন। দেখবেন, দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ অনেক কমে যাবে। মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমে গেলে আপনার মুখের রোগ বা শরীরের যে কোনো রোগই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভাল হয়ে যাবে। এরপরেও যদি আপনার মুখের আলসার বা যে কোনো রোগ ভাল না হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সুচিকিৎসা গ্রহণ করুন।
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল: ০১৮১৭-৫২১৮৯৭
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন