কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের উত্তেজনা চলছে। এই উত্তেজনা পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নেওয়ার বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন। সংবাদসংস্থা আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন। কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যথাযথ ভ‚মিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে তাতে পুরো বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের কাছ থেকে তেমন কোনো ভ‚মিকা প্রত্যাশা করেন না। ইমরান বলেন, ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর গঠিত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো- প্রধানত জাতিসংঘের কাছ থেকে আমরা বেশি কিছু আশা করি না।’ কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পাকিস্তান কথা বলেছে বলেও জানান তিনি। কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ভারত বাতিলের পর বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, পুরো বিষয়টির পেছনে রয়েছে বড় বাজার। কিছু দেশ বড় বাজারের দিকে নজর রাখে। তারা ভারতকে ১০০ কোটি মানুষের বাজার হিসেবে দেখে। তারা মানুষের জীবনের চেয়েও ব্যবসায়িক সম্পর্ককে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তারা বুঝতে পারে না যে, তারা যদি এই মুহ‚র্তে হস্তক্ষেপ না করে তাহলে এর পরিণতি কেবল উপমহাদেশ নয়, পুরো বিশ্ববাণিজ্যকে বহন করতে হবে- প্রত্যেকে এর মাধ্যমে প্রভাবিত হবে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের যে সম্ভাবনার কথা বলেছেন তাতেও সমর্থন জানান ইমরান। তিনি বলেন, ‘যা ঘটছে তা হচ্ছে ভারত কম-বেশি গণহত্যা চালাচ্ছে। এটা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো বর্ণবাদী হামলা। আমি মনে করি না, জার্মানির নাৎসিদের পর এরকম আর দেখা গেছে। ৮০ লাখ মুসলমান প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ। এটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জ্বলন্ত বিন্দু হয়ে দাঁড়ানোর কারণ হচ্ছে ভারত কাশ্মীরে তাদের অবৈধ দখল ও গণহত্যা থেকে বিশ্বের নজর অন্যদিকে সরাতে চাইছে।’ পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই দুই পারমাণবিক অস্ত্র শক্তিধর দেশ যখন যুদ্ধ করে, তারা যদি প্রচলিত যুদ্ধ করে- তাহলে তা পরমাণু যুদ্ধ দিয়ে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’ আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন