পাবনায় ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট বন্যার পানি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে সামান্য হ্রাস পেয়ে আজ শনিবার বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টি না হলে পানি আর বাড়বে বলে জানিয়েছেন, পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী কে.এম জহরুল হক ।
এদিকে পানি কমার সাথে সাথে পাবনায় বিভিন্ন স্থানে নদীকূলে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। পদ্মা নদীর ভাঙ্গনের মুখে সব সময় থাকা পাবনার সুজানগর উপজেলার গুপিনপুর এলাকায় এলজিইডির সড়ক ও স্থানীয় গোরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জিওবি ব্যগ ফেলতে শুরু করেছে। নগরবাড়ীর ঘাটের নিকটবর্তী এলাকায় যমুনার ভাঙ্গন াভ্যাহত আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়া বিভাগীয় অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ জানান, সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্বিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গুপিনপুর এলাকায় ভাঙনের কবল থেকে সড়ক ও গোরস্থান রক্ষায় আড়াই হাজার জিও ব্যগ ডাম্পিং কাজ শুরু করা হয়েছে। আকস্মিক বন্যায় উজান থেকে নেমে আসা পদ্মার পানিতে তলিয়ে গেছে সদর, ঈশ্বরদী ও সুজানগর উপজেলার প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির আবাদী ফসল। নষ্ট হয়েছ আগাম শীতের সবজী, ধান, মরিচ, মাস কালাই ও রবি শস্য। শুধু সুজানগরে বন্যায় পানি বন্দী হয়ে আছেন ১০ হাজার পরিবার।
এদিকে, বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছেন পাবনা জেলা প্রশাসন। ঈশ্বরদী, সুজানগর ও পাবনা সদর সদরের ভাড়ারা উপজেলায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বন্যা কবলিতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ত্রাণ হিসেবে ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পানি বৃদ্ধির ফলে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর, ভাঁড়াড়া, দোগাছি এবং চরতারাপুর, কোমরপুর চর, সুজানগর উপজেলার ভায়না, সাতবাড়িয়া, নাজিরগঞ্জ, মানিকহাট, সাগরকান্দি এবং সুজানগর পৌরসভার প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। পানি সরে করে আবাদের জন্য কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ শুরু করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন