জাপান দূতাবাসের চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স ও সফররত জাপান প্রতিনিধিদলের নেতা মি হিরোযুকি ইয়ামা বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক রাজনৈতিক অবস্থান তাৎপর্যবহ মনে করে জাপান। বাংলাদেশ এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং মধ্য এশীয় ইউরোপীয় দেশগুলোর ঠিক মধ্যবর্তী দেশ। বাংলাদেশকে এ দুই ভিন্নধারার মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টির ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আগামীতে জাপান বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও গভীর ও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি প্রত্যাশ ব্যক্ত করেন। তিনি নগরবাসীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নগর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, সবুজায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা শুনে সিটি মেয়রের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
গতকাল (সোমবার) সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে জাপানের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতা মি হিরোযুকি ইয়ামা এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রতিনিধি দলকে নগরীর পরিচ্ছন্নতা, ডোর-টু-ডোর প্রকল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নগর অবকাঠামো উন্নয়ন, চট্টগ্রাম নগরীকে একটি বাসযোগ্য, নিরাপদ, পরিবেশ বান্ধব ও সবুজায়ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, জাপান বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের অবকাঠামোগতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপান সরকারের সহযোগিতা বাংলাদেশের মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। আগামীতেও বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় কর্পোরেশনের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, ডেপুটি হেড অব পলিটিকেল সেকশন রেইকো হারা, ডিফেন্স এ্যাটাক ক্যাপ্টেইন তাইকো এডা, অনারারি কনসুলেট জেনারেল অব জাপান নুরুল ইসলাম, পলিটিক্যাল স্পেশালিস্ট আবুল হাসনাত উপস্থিত ছিলেন। বৈঠককালে সিটি মেয়র সফররত ‘বানজো’ ও ‘তাকাশিমা’যুদ্ধ জাহাজের অধিনায়কদের ক্রেস্ট প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন