মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সউদী-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো

সউদী কোম্পানির সঙ্গে পিডিবির এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সউদী আরবের সঙ্গে সম্পর্ক বাংলাদেশের অন্য রকম স্তরে নিয়ে যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। তিনি বলেন, আমরা সউদী আরব-বাংলাদেশ সম্পর্ক অন্য স্তরে নিয়ে যেতে চাই। এই চুক্তির মধ্যে দুই দেশের মধ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। গতকাল বৃহস্পতিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সউদী কোম্পানি অ্যাকওয়া পাওয়ারের সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা যখন গত বছরের নভেম্বরে সউদী সফর করি তখন বাদশা বলেছিলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য পিআইএফ (পাবলিক ইনভেস্ট ফান্ড) টিম পাঠাব। ১ বছরের কম সময়ে তিনি তার কথা বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি আরো বলেন, এনার্জি হচ্ছে অর্থনীতির চালিকা শক্তি। বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্য এসেছে এই খাতে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ২০১৫ সালে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। এই সময়ের মধ্যে ২৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে বিদ্যুৎ খাতে। আমার ঝুড়ি প্রায় পূর্ণ, তবে সামনের দিকে আরও ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চাই। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ পছন্দ করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিলম্বে শুরু হলেও যাত্রা শুরু হলো। আশা করি অনেক দূর যেতে পারবো।
অ্যাকওয়া পাওয়ার বাংলাদেশে গ্যাস ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহী। কোম্পানিটি প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চায়। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের প্রাক-সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

বিদ্যুৎখাতে সউদী কোন কোম্পানির এটাই প্রথম বড় বিনিয়োগ প্রস্তাবে এমওইউ স্বাক্ষরিত হলো। এর আগে আল ফানাহ নামের একটি কোম্পানি পিজিসিবির সঙ্গে ১শ’ মেগাওয়ার্ট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে এমওইউ করেছে। এছাড়া সউদী রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে। কোম্পানিটি এলএনজি ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ইদানিং একটি কথা শুনতে পাচ্ছি এত বিদ্যুৎ রাখব কোথায়। অথচ এর জন্য আমাদের ধন্যবাদ পাওয়ার কথা। ডিমান্ড এবং সাপ্লাই যতটুকু হওয়ার কথা ততটুকু হয়েছে। যাতে লোডশেডিং না হয় সেভাবে করা হয়েছে। অবকাঠামো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে করা হয়। চুক্তিটি দুই পক্ষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করবে।

অ্যাকওয়া পাওয়ারের চেয়ারম্যান আবু নাইয়ান বলেন, সামাজিকভাবে খুবই সম্মানিত বোধ করছি। বিনিয়োগের সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সৌভাগের। সারাবিশ্বে প্রমাণিত আমাদের লিডারশিপ। আমি আইএমএফ, ইউএন-এর রিপোর্ট দেখেছি, বাংলাদেশ দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা শুধু এই একটি নয়। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আছি, থাকতে চাই জনগণ এবং অর্থনীতির সঙ্গে।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহিদুজ্জামান সরকার, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ প্রমূখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
A D Dulal ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩০ এএম says : 0
সৌদি আরব পাকিস্তান ভারত বাংলাদেশ সব জায়গাতেই বিনিয়োগ করে।
Total Reply(0)
Suraj Khan ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩১ এএম says : 0
এটা তো মুসলিম দেশের টাকা, ভক্তরা কি এটা মেনে নেবে, "!
Total Reply(0)
Deepak Eojbalia ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
Every country has an intention to invest in our country.
Total Reply(0)
Taskin Alam ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 0
Thanks..invest more money for our country and that's what we want.
Total Reply(0)
Md.Abdul Khaleque ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 1
বিএনপি আর জামাতের ঘুম হারাম হবে। সৌদী ছুটবে এ বিষয়ে না বলার জন্য।
Total Reply(0)
Mithu ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
সরকারে উচিৎ হবে এমন বিনিয়োগ উৎসাহিত করা যাতে একটা বিনিয়োগকে কেন্দ্র করে ছোটোখাটো দেশীয় বিনিয়োগ গড়ে উঠার সুযোগ পাই , শুধুমাত্র চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে এমন ধারনা থেকে এখন বেরিয়ে আসার সময়
Total Reply(0)
মজলুম ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
Good news for Bangladesh economy. Hope many giant companies are investing in our country and help to build a great nation. Thanks to Govt.
Total Reply(0)
নূরুল্লাহ ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ৮:০৪ এএম says : 0
বাংলাদেশের মতো জায়গায় সৌদিআরব বিনিয়োগ করলে ভয়, কিন্তু ভারত, আমেরিকায় তাদের বিনিয়োগ নিয় ভয়, আপত্তি, আতঙ্ক আছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন