রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

পদক সংখ্যা বলতে পারল না বিওএ!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:১২ পিএম

আর মাত্র ক’দিন বাদেই নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখরা শহরে বসছে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১৩তম আসর। আগামী ১ ডিসেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও মাঠের লড়াই শুরু হবে ২৭ নভেম্বর থেকে। এদিন ত্রিপুরেশ্বরি কভার্ড হলে ভলিবল ডিসিপ্লিন দিয়ে শুরু হবে নেপাল এসএ গেমসের কার্যক্রম। দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এই গেমসের পর্দা নামবে ১০ ডিসেম্বর। নেপাল এসএ গেমসের ২৭ ডিসিপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে ২৫টিতে। দলের বহরও বেশ লম্বা। প্রস্তুতিও মোটামুটি। ৬ মাসের প্রস্তুতির পরও এবারের এসএ গেমসে লাল-সবুজদের স্বর্ণপদকের সংখ্যা কত হতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারল না বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। গেমসকে সামনে রেখে শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা জানান, নেপাল এসএ গেমসের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি বেশ ভালো। তাই এবার গতবারের চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায়। কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছেনা নেপালে বাংলাদেশ কয়টি স্বর্ণপদক জিতবে। বিওএ ভবনের ডাচ বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিওএ সহ-সভাপতি ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ মামুন, কোষাধক্ষ্য ও মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল, এসএ গেমসে বাংলাদেশ দলের সেফ দ্য মিশন, ডেপুটি সেফ দ্য মিশন ও বিওএ’র ট্রেনিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব এ, কে সরকার।

এবারের এসএ গেমসে সেফ দ্য মিশন, ডেপুটি সেফ দ্য মিশন, খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার, টিম ডাক্তার এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিলিয়ে এবার ৬২১ জনের বাংলদেশ দল যাচ্ছে নেপালে। গেমসে বাংলাদেশ দলের সেফ দ্য মিশনের দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) উপ-মহাসচিব ও হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর। ডেপুটি সেফ দ্য মিশন হিসেবে যাচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন-সচিব ও বিওএ’র সদস্য মো: ওমর ফারুক এবং জুডো ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দা জান্নাত আরা। এসএ গেমসে এবার জায়ান্ট ভারত ১০টি ডিসিপ্লিনে খেলবে না। শুধু তাই নয়,নারীতে থাকলেও পুরুষ ফুটবলেও থাকছে না তারা। আফগানিস্তানও নেই এবারের গেমসে। ২০১০ ঢাকা এসএ গেমসে বাংলাদেশ পেয়েছিল ১৮টি স্বর্ণ। ২০১৬ গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে তা নেমে আসে চারে। গেমসের গত আসরে ক্রিকেট ছিল না। এবার ক্রিকেট যুক্ত হয়েছে। তারপরও নেপাল এসএ গেমসে বাংলাদেশের স্বর্ণপদকের সংখ্যা কত হতে পারে তা জানাতে পারছে না বিওএ। এমনকি বেশি পদক পাওয়ার কথাও জোর গলায় বলতে পারছে না তারা। এ প্রসঙ্গে বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন,‘আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়েছি। কে কোন ডিসিপ্লিনে খেলবে বা খেলছে না সেটা আমাদের বিবেচ্য না।’ তিনি যোগ করেন,‘ ২০১০ সালে নিজেদের মাটিতে গেমস হওয়া মানে অনেক ইতিবাচক দিক। আমরা সেবার স্বাগতিক ছিলাম। এবার নই। সুতরাং সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না কয়টা স্বর্ণ পাব। এমনও হতে পারে এক ডিসিপ্লিন থেকে কয়েকটি স্বর্ণ পেতে পারি।’ বিওএ মহাসচিবের কথাটি হয়তো আরচ্যারিকে উদ্দেশ্য করেই বলেছেন। কারণ সম্প্রতি রুমান সানা সরাসরি অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। রুমান সানাকে নিয়ে স্বর্ণ প্রত্যাশা স্বাভাবিক। সেই মাত্রা আরো বাড়ে যখন শোনা যায় নেপাল গেমসে ভারত আরচ্যারিতেখেলছে না।

সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছিল টেবিল টেনিসের রুমি ও মানস প্রসঙ্গ। আদালতের নির্দেশনা রয়েছে তাদের দলভুক্তি করার। এ বিষয়ে বিওএ সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন বলেন,‘ আমরা বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে দেখেছি ও পত্রিকায় পড়েছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি। বিষয়টি ফেডারেশনের। ফেডারেশন আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি কিছু। প্লেয়ার নেম বাই এন্ট্রির সময়সীমা শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এখন আর অর্ন্তভূক্ত সম্ভব না।’

গেমস শুধু পদকেরই লড়াই নয়, পদকের বাইরেও অনেক বিষয় জড়িত। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক গেমসে বাংলাদেশ দলের কর্মকর্তারা সঠিক সময়ে মিটিংয়ে অংশ না নেয়ায় শেষ পর্যন্ত খেলা হয়নি। অনেক ক্রীড়াবিদ অনেক সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গও করেছেন। নেপালে দলের শৃঙ্খলার বিষয়টি কিভাবে দেখা হবে? এমন প্রশ্নের সেফ দ্য মিশন আসাদুজ্জামান কোহিনুরের উত্তর,‘শৃঙ্খলার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। পারফরম্যান্স যে যাই করুক, শৃঙ্খলা সবার জন্য সমান ও পালনীয়।’

এসএ গেমস উপলক্ষ্যে প্রস্তুতির জন্য সরকারের কাছে ৩০ কোটি টাকা চেয়েছিল বিওএ। যার অর্ধেক পেয়েছে তারা। বাকি টাকা সহসাই পাওয়া যাবে বলেন জানান কর্মকর্তারা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন