পরকীয়ায় আসক্ত এক যুবলীগ নেতা তার অসুস্থ্য স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে প্রেমিকার হাত ধরে উধাও হয়েছে । অন্যদিকে হাসপাতাল শয্যায় মার গেছে ওই যুবলীগ নেত্রীর স্ত্রী রেহেনা বেগম (২৫ ) । ঘটনাটিকে ঘিরে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল গ্রামে তোলপাড় চলছে । অভিুযুক্ত ওই যুবলীগ কর্মীর নাম শাহীন আলম (৩০)।
জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি শাহিন আলমের সাথে তুলাশন গ্রামের এক কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে শাহীন আলমের সাথে তার স্ত্রী রেহেনার ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর গত শুক্রবার শাহীনের স্ত্রী রেহেনা বেগম বাড়িতে পানিতে ডিটারজেন পাউডার মিশিয়ে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শাহীন আলম অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়ে ওই দিনই সন্ধ্যার পর তার প্রেমিকা কলেজ ছাত্রী সুমি আকতারকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়। এই খবরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেহেনা মানষিকভাবে আহত হয়ে রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা ।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বুড়ইল ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ বলেছেন , এই ন্যক্কারজনক ঘটনার নায়ক যুবলীগ নেতা শাহীনের সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিৎ । তিনি জানান , শাহীন ও রেহেনা দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে , যাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেল ।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির বলেন, লোক মুখে ঘটনাটি শুনেছি। এখনও কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অবিযোগ পেলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন