বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরগুলোতে এই কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। স্বেচ্ছাসেবক দলের দফতরের দায়িত্বে থাকা মোঃ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর ঃ বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল কাকরাইল মোড় থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন-সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এস এম জিলানী, সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন অর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনু মোঃ শামীম আজাদ, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাদের হালেমী, জাকির হোসেন, দফতর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মনির, রাসেল মাহমুদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা শিকদার, উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাঈদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মোসাব্বির, সাবেক সহ-সম্পাদক এ্যাড. মহিউদ্দিন লোবান, এম জি মাসুম রাসেল, ফরহাদ উদ্দিন, মাহমুদুল বারী, অমিত হাসান হাফিজ, সদস্য এ বি এম মুকুল, ডাঃ জাহিদুল কবির জাহিদ, আলাউদ্দিন জুয়েল, আমিনুল ইসলাম তালুকদার মহসিন, মোঃ জসিম উদ্দিন, জেড আই কামাল, সালেহ আহমেদ কাঞ্চন, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুর রহমান, সুলতান নাসির, মোঃ আরিফুর রহমান, সরদার নুরুজ্জামান, ড. মফিদুল ইসলাম, ইউসুফ হারুন পাটোয়ারী, হাজী নুরুল আলম মোল্লা, মুশফিকুর রহমান লেলিন, হারুন অর রশীদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইঞ্জিঃ সাহাবুদ্দিন, মোর্শেদ, শাহ আলম, এ্যাড. নুরুল হক, মোঃ আবু সাঈদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, মোঃ শহীদুল ইসলাম, আলমগীর শাহীনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
মিছিল শেষে মালিবাগ মোড়ে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শফিউল বারী বাবু বলেন, ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে, সুচিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে তিলে তিলে নিঃশেষ করতে প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। মিথ্যা ও সাজানো মামলায় নির্দোষ দেশনেত্রীকে মুক্তি না দিয়ে সরকারের উন্মত্ত আচরণকে জনগণ কোনদিনই ক্ষমা করবে না। দেশের আপোষহীন নেত্রী, গণতন্ত্রকে যিনি বারবার স্বৈরাচারী শাসকদের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছেন সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জনগণের সর্বাধিক প্রিয় নেত্রী। শেখ হাসিনা ভালভাবেই জানেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করা হলে গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষের জোয়ার উঠবে, সেই জোয়ারের ঢেউয়ে আওয়ামী শাসন দীর্ঘায়িত করা কোনক্রমেই সম্ভব নয়। আর এ কারণেই বেগম জিয়াকে শুধু জামিন নয়, তাঁকে সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে নিষ্ঠুরভাবে। তবে দৃঢ়কন্ঠে বলতে চাই-জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ^াসী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ণ চালিয়ে বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে কখনোই স্তব্ধ করা যাবে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে জনগণ এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার মিথ্যাচার, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও কুৎসা রটনাকে পুঁজি করে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে কব্জায় নিয়ে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। কেবলমাত্র ক্ষমতার লোভ একটি স্বাধীন দেশের সরকার ও সরকারপ্রধানকে কতটা নিষ্ঠুর করতে পারে তা জনগণের একজন প্রিয় নেত্রী, তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় বুঝা যায়। আমরা সুষ্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই-বেগম খালেদা জিয়াকে নি:শর্ত মুক্তি দেয়া না হলে এবং এজন্য তাঁর কোন ক্ষতি হলে বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীকে এর দায় নিতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর আদর্শ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণে বিশ^াসী নেতাকর্মীরা যেকোন মূল্যে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে লড়াই চালিয়ে যাবে।
ঢাকা মহানগর ছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারাদেশে সকল জেলা ও মহানগরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন