আন্তর্জাতিক জেনোসাইড (গণহত্যা) ও প্রতিরোধ দিবস ৯ ডিসেম্বর । এই দিবসটির স্মরণে জেনোসাইড ’৭১ ফাউন্ডেশন, নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের খাবার বাড়িপার্টি হলে মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। “আন্তর্জাতিক জেনোসাইড (গণহত্যা) দিবসের তাৎপর্য ও একাত্তরে বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইড (গণহত্যা)’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি” শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেনোসাইড ’৭১ ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ডঃ প্রদীপ রঞ্জন কর ও পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনজুর চৌধুরী। এতে অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো: আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মিশনের প্রথম সেক্রেটারী (প্রেস) নূরে এলাহী মিনা।
ড: প্রদীপ রঞ্জন কর বলেন, এই দিবসের মূল লক্ষ্য হল গণহত্যা বিষয়ক প্রথাটির ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং গণহত্যায় মৃত ব্যক্তিদের স্মরণ ও সম্মান করা। এটি জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে এ-ও স্মরণ করিয়ে দেয় যে তাদের নিজ জনগণকে গণহত্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য দায়িত্ব আছে। গণহত্যার উস্কানি বন্ধ করা ও গণহত্যা ঘটলে তা প্রতিরোধ করা এই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর পালিত হয় । ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ এ দিনটিকো আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস হিসাবে ঘোষণা করে ৷ জাতিসংঘ দিবসটি ঘোষণার পর থেকেই জেনোসাইড ’৭১ ফাউণ্ডেশন, ইউএসএ প্রতি বছর দিনটি পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকাতায় আজকের এই অনুষ্ঠান।১৯৪৯ সালের ৯ই ডিসেম্বরে প্রথমবারের মত জাতিসংঘে গণহত্যা প্রতিরোধ ও এ সংক্রান্ত শাস্তি বিষয়ক প্রথাটি (convention) গৃহীত হয়।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭০ সালের পাকিস্তান সাধারণ নির্বাচনের রায়কে অস্বীকারকরা, বাঙ্গালীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা এবং বাঙালীর স্বাধীনতার দাবিকে চিরতরে ধ্বংস করার লক্ষে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালের পাকিস্তান সেনাবাহিনীপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ৩০ লাখ বাঙালি ও নির্যাতন, ধর্ষণ,হত্যা করে ২-৪ লক্ষ বাঙ্গালী নারী। নারী ধর্ষণ ব্যবহৃত হয় যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন দলিলপত্রেও বলা হয়েছে যে স্মরণকালের ইতিহাসে নৃশংসতম গণহত্যার একটি হল ১৯৭১ বাংলাদেশের জেনোসাইড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বাংলাদেশের পাকিস্তানিদের চালানো জেনোসাইড (গণহত্যা) সবচেয়ে বড় জেনোসাইড। ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে’ বাংলাদেশের হত্যাযজ্ঞকেবিশ শতকের পাঁচটি ভয়ঙ্কর গণহত্যার অন্যতম বলে উল্লেখকরা হয়।
আলোচনায় আরও অংশগ্রহন করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্বা ফারুক হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল ইসলাম, আকতার হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, আইন সম্পাদক এডভোকেট শাহ মো: বখতিয়ার, নির্বাহী সদস্য শরিফ কামরুল হিরা, কায়কোবাদ খান, যুক্তরাষ্ট মহিলা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শাহনাজ মমতাজ, যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনা মঞ্চের সভাপতি জালাল উদ্দিন জলিল ও সাধারন সম্পাদক কায়কোবাদ খান, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ জামাল হোসেন ও রহিমুজামান সুমন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি হাসান জিলানী, নিউইয়র্ক মহানগর যুবলীগের সভাপতি খন্দকার জাহিদুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন