বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বগুড়ায় কেমিক্যাল বোঝাই ট্রাক আটক

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বগুড়ায় মাঝরাতে একটি গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ কেমিকেল গোডাউন থেকে ট্রাক বোঝাই করে অন্যত্র নেয়ার সময় সন্দেহবশত আটক করেছে স্থানীয় জনগণ।

প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, হত মঙ্গলবার রাত দু’টার দিকে ফোকপাল এলাকার একটি গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণে কেমিকেলের জ্যারিকেন বের করে ট্রাকে বোঝাই চলছিলো। সন্দেহবশত এলাকাবাসি সেখানে উপস্থিত হয়ে ট্রাকের হেলপার ও গোডাউনের লেবারদের কাছে জানতে চাইলে তারা সঠিক উত্তর দিতে না পারায় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর একটি কেমিকেল জ্যারিকেন বোঝাই ট্রাক চলে গিয়ে আরেকটি ট্রাক বোঝাইয়ের কাজ শুরু হলে লোকজন ওই ট্রাকটিও আটকে দিয়ে বগুড়া পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে খবর দেয় ।

পরে বগুড়া থেকে ডিবির একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারে মালগুলো বিএনপি মনোনিত স্থানীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের মালিকানাধীন ঢাকাস্থ একটি কেমিকেল প্রতিষ্ঠানের। তবে কেমিকেল গুলো বৈধ না অবৈধ তা’ নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বগুড়ায় দেখা করার কথা বলে ফিরে যায় ডিবির টিম।

গতকাল বুধবার দুপুরে বগুড়ার ডিবি ওসি আসলাম আলী বলেন, লোকমুখে খবর পেয়ে ডিবির টিম মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থলে যায়। কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় সেগুলো অবৈধ নয় বিধায় সেগুলো আটক করা হয়নি। কেমিকেল গুলো কি জানতে চাইলে আসলাম আলী বলেন , কাগজপত্র অনুযায়ী হাইড্রোজেন পারওক্সাইড। কাপড় রঙ করার কাজে ওই কেমিকেল ব্যবহার করা হয় ।
দুপুরের পর আটক ট্রাকটি পুলিশের ক্লিয়ারেন্স পেয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর নামক স্থানে বগুড়া কাস্টমস ট্রাকটি আটক করে পুনরায় তাদের হেফাজতে নেয়।

বগুড়া কাস্টমসের সহকারী কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, আটক ট্রাক বোঝাই কেমিকেলের মালিক এমপি মোশারফ হোসেন কাগজপত্র নিয়ে তাদের অফিসে এসেছেন এবং আটকৃত কেমিকেল বৈধ বলে দাবি করছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এলাকার জনৈক জাহেদুলের মালিকানাধীন ওই গোডাউনে বেশ কয়েকমাস ধরেই মাঝরাতের দিকে ট্রাকে মালামাল লোড আনলোড করতে দেখে তাদের মনে সন্দেহের উদ্রেক করে। মঙ্গলবার সন্দেহ বশত মালগুলো আটকের পর জানা গেছে ওগুলো কেমিকেল এবং ওগুলোর মালিক তাদের এলাকার এমপির। তবে অনেকেই বলেছেন, কেমিকেলের মত দাহ্য বস্তু এভাবে লোড আনলোড করায় যে কোন সময় অগ্নিকা- বা বিষ্ফোরণ ঘটে গিয়ে জানমালের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন