শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

জুতা পায়ে বিজয়স্তম্ভে অতঃপর হামলা

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বিজয় দিবসে উলিপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের অস্থায়ী বিজয় স্তম্ভে জুতা পায়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন কলেজটির ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মো. আবু তাহের। জুতা পায়ে শহীদ মিনারে প্রিন্সিপালের শ্রদ্ধা নিবেদনের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে তার অফিস কক্ষে। হামলায় আহত প্রিন্সিপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, উলিপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকালে অস্থায়ী বিজয় স্তম্ভে কলেজের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল আবু তাহেরকে জুতা পায়ে পুস্পস্তবক অর্পন করে ফটোসেশন করতেও দেখা যায়। বেদিতে জুতা পায়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুপুরে বহিরাগতরা কলেজে ঢুকে প্রিন্সিপালকে মারধর করে তার অফিস কক্ষ ভাঙচুর করে।
এ সময় তার অফিস কক্ষে রক্ষিত সিসি ক্যামেরার মনিটর ও কম্পিউটার নিয়ে যায়। পরে কলেজের অন্যান্য শিক্ষকগণ তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এদিকে বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ওই প্রিন্সিপালের অপসারণ ও শাস্তির দাবীতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল আবু তাহেরের মুঠো ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে জানান, অসুস্থ থাকায় তিনি কথা বলতে পারবেন না। সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমডি ফয়জার রহমান জানান, বিজয়ের এই দিনে জুতা পায়ে শহীদ স্তম্ভে উঠে শহীদদের অপমান করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, আহত অবস্থায় সরকারি কলেজের প্রিন্সিপালকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। উনার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম রয়েছে। উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে উঠার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে মারপিট করার কথা শুনেছি। এ ঘটনায় তিনি হাতপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কলেজের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদের বলেন, জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে উঠা দুঃখজনক। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন