দেশের শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো ধনী ও বিত্তশালী সকলের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। আর্থিক দুরবস্থার কারণে অনেকেই শীতের গরম কাপড় কিনতে পারছে না। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় দুঃস্থ ও গরীব মানুষ চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে।
পীর সাহেব চরমোনাই : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতা কর্মীসহ বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের দরিদ্র জনগণ ও ফুটপাতের মানুষসহ উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ শীতে দিশেহারা। বিশেষ করে গরীব ও অসহায় মানুষ শীতে অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শীতার্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকল বিত্তবানদের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অতীতেও অসহায় মানুষের পাশে সাধ্যানুযায়ী দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আসছে, ভবিষ্যতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি : ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী এক বিবৃতিতে বলেছেন, তীব্র ঠান্ডা বাতাস, অসহ্য শীত ও কুয়াশার চাদরে ঢাকা সারাদেশের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে এবং নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। প্রচণ্ড শীত নিবারণের ব্যবস্থা নাথাকায় অনেকে শীতজনিত রোগে ভুগছেন। ফলে শীতগ্রস্থ দরিদ্র মানুষ এক যন্ত্রনাময় জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
তিনি বলেন, এহেন পরিস্থিতিতে সকল বিত্তবান মানুষ ও সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি শীতার্তদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শৈত্য প্রবাহসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন মানুষের জন্যে মহান আল্লাহর তরফ হতে পরীক্ষা, তেমনি শীতার্তদের প্রতি সাহায্যের ক্ষেত্রে বিত্তবানদের জন্যেও এক মহাপরীক্ষা।
মাওলানা নেজামী তীব্র শীতে লোকজনের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি মৃত্যুবরণকারীদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, তীব্র শীতের প্রকোপে নিদারুণ কষ্ট ও দুঃসহ অবস্থায় পড়ে মানবেতন জীবন যাপন করছে দেশের লাখ লাখ হতদরিদ্র, নিঃস্ব, ছিন্নমূল মানুষ। আর্থিক দুরবস্থার কারণে অনেকেই শীতের গরম কাপড় কিনতে পারছে না। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় দুঃস্থ ও গরীব মানুষ চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে। তিনি বলেন, মানবিক কারণে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো ধনী ও বিত্তশালীদের সকলের নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব।
জমিয়ত মহাসচিব আরো বলেন, শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন সুচিকিৎসা, ওষুধপথ্য এবং শীত মোকাবিলায় সরকারি বা বেসরকারিভাবে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ। এ জন্য জাতি ধর্ম বর্ণ দলমত নির্বিশেষে বিত্তবানদের শীতার্ত বস্ত্রহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন