প্রতিবন্ধী সোবাহান রাতে নিজ ঘরে লেপ মুড়ি দিয়ে একা ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে একই এলাকার কালাম মৃধা, শহিদ মৃধা, জাকির ডাকুয়া, মাসুদ ও জলিল তাদের ঘরে ঢুকে তার পিতা সুলতান মৃধাকে ভেবে তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এতে সোবাহানের ডান কান ও ঘাড়ে রক্তাক্ত জখম হয়। তার মা বানেছা বিবি সকালে তার চাচার ঘর থেকে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ডাকচিৎকার দিলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে সোবাহানের শরীর থেকে ঝড়ে যায় প্রায় সত্তর ভাগ রক্ত। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করা বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সোবাহান মুত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। শনিবার দুপুরে কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে এসব কথা বলেন সোবহানের বড় ভাই বাবুল মৃধা। এসময় রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বাবুল মৃধা বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে তাদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ডাবলুগঞ্জ ইউনিয়নের মনোসাতলী গ্রামের কালাম মৃধা, শহিদ মৃধা, জাকির ডাকুয়া, মাসুদ ও জলিল মৃধার সাথে। ঘটনার দিন মঙ্গলবার(২৫ ডিসেম্বর) তার পিতা সুলতান মৃধা কলাপাড়া সদরে এসেছিলেন জমি সংক্রান্ত মামলার হাজিরা দিতে। আর তার মা ঘুমিয়েছিলেন পাশের বাড়ির চাচার বাসায়। রাতে ঘরে একাই ঘুমিয়েছিলেন তার ভাই সোবাহান (মামুন)। আর এই সুযোগে তার পিতাকে ভেবে সোবাহানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ ঘটনায় সোবাহানের পিতা বাদী হয়ে মহিপুর থানায় আট জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৫/২৫। কিন্তু এজাহারভুক্ত আসামীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেনা। এছাড়া বর্তমানে আসামীরা তাদের মামলা তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিচ্ছেনও বলে তিনি অভিযোগ করেন। সোবাহান মৃধার পরিবারের সদস্যরা পারিবারিক নিরাপত্তার দাবীতে আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থার কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহম্মেদ বলেন, এঘটনায় মেনাজ সিকদার নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন