নিরাপরাধ ব্যক্তিকে বেআইনিভাবে জেলহাজতে প্রেরণ, বিচারপ্রার্থী সাধারণ জনগণসহ আইনজীবীদের সাথে কুড়িগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. তারিক হোসেনের অসৌজন্য ব্যবহার, অ-বিচারক সুলভ আচরণ, অনৈতিক ও বেআইনী কাজের প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করেছে।
গতকাল রোববার আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট এনামুল হক চৌধুরী চাঁদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা জজের প্রত্যাহারের দাবিতে ৭ দিনের আলটিমেটামের ঘোষণা দেয় আইনজীবীরা। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অভিযুক্ত বিচারকের আদালত বর্জন ও পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট এরশাদুল হক চৌধুরী, শ্রী সুজিৎ চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন প্রমুখ। এর আগে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ আন্দোলন কর্মসূচি নেয়া হয়। কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত একটি সিভিল মামলায় বাদী ও বিবাদী আদালতের বাইরে সমঝোতা করার পর বাদী নার্গিস হক মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক বাদীর আবেদন আমলে না নিয়ে বে-আইনী ভাবে বিবাদী আসাদুর জামান সবুজ ও তার মা আসমা বেগমকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। যা সিভিল মামলায় ওই বিচারকের সম্পূর্ণ এখতিয়ার বহির্ভূত। শুধু তাই নয়, ওই বিচারক তার কোটের বেঞ্চ সহকারীকে বাদী করে উক্ত দুই বিবাদীর বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন যা আইন সম্মত নয়। এ অবস্থায় জেলা ও যুগ্ম দায়রা জজ মো. তারিক হোসেন বিচারিক কাজ পরিচালনার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বে-আইনী ভাবে ওই দুই বিবাদীকে জেলহাজতে প্রেরণের সিদ্ধান্ত দেয়ার পর জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ফখরুল ইসলাম এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আমজাদ হোসেন ওই বিচারকের চেম্বারে দেখা করতে গেলে তিনি তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন