শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস

মৌলভীবাজার জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:৩২ পিএম

গত কয়েকদিন বিরতির পর আবারও মৌলভীবাজারে শীত জেঁকে বসেছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারি ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েকদিন থেকে বইছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। আর রয়েছে বাতাসের সাথে হিমেল হাওয়া। শীতের কারণে জেলায় জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।
কন কনে শীত ও হিমেল হাওয়ার কারণে দিন ও রাতে খড়খুটো জ্বালিয়ে সাধারণ মানুষ শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীতের কারণে নি¤œ আয়ের মানুষ চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পাশপাশি গৃহপালিত পশুদেরও রেহাই নেই। ক্ষতিহচ্ছে আবাদকৃত বোরো চারা,বীজতলা ও নানা জাতের কৃষিচাষাবাদের। হঠাৎ করে গেল কয়েক দিন থেকে ঠান্ডা বেড়ে চলায় চরম বিপাকে পড়েছেন বোরো চাষী ও চা শ্রমিকরা। দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ঠান্ডার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে শীত জনিত রোগ বালাইও। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।
শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আনিছুজ্জামান জানান, ঘন কোয়াশা ও মেঘলা আকাশ কেটে যাওয়া শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। আবহাওয়ার এ অবস্থা আরো কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে। সাধারণত প্রতিবছরই শীত মৌসুমের শেষে এসে মৌলভীবাজার অঞ্চলের তাপমাত্রা কমতে থাকে। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তা বিরাজ করে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে আরো জানায়, ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২.৮ ডিগ্রি।
এছাড়াও ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন