কুড়িগ্রামে শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার মানুষ। ঘন-কুয়াশার সাথে হিমেল হওয়ার কারণে এসব মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। হিমেল হাওয়ায় কষ্ট আরো বেড়েছে। দুপুর গড়িয়ে গেলেও অধিকাংশ সময়ে সূর্যের আলো দেখা যায়না। দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে দূরপাল্লাসহ বিভিন্ন যান চলাচল করতে হয়। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
এদিকে,হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে।প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সসমুহেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ পুলক কুমার সরকার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিমোনিয়ায় ১২ জন শিশু, ডায়রিয়ায় ২৭জন, এবং শিশু ওয়ার্ডে ৬১ শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে এবং আউটডোরে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।। এছাড়াও জেলার বাইরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিমোনিয়ায় ১২ জন শিশু, ডায়রিয়ায় ২১জন আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, জেলার ৯ উপজেলায় ও ৩টি পৌরসভায় শীতার্তদের জন্য ৩৫ হাজার কম্বল, শীত বস্ত্র কেনার জন্য ৬৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। প্যাকেটের মধ্যে ১০ কেজি চাল, ১কেজি ডাল, ১লিটার তেল,১কেজি লবন, ১কেজি চিড়া, ১কেজি চিনি ও আধা কেজি লবন ছিল।
শুক্রবার স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ঘন্টায় জেলার তাপমাত্রা ১১দশমিক ১ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন