কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কুড়িগ্রামে মানুষ। ঘন-কুয়াশার সাথে হিমেল হওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। নিম্ন আয়ের ও দিন মজুর শ্রেণীর মানুষজন খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন হতদরিদ্র পরিবারের শিশু ও বৃদ্ধরা। শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে।
কুড়িগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রচন্ড শীতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় ১৯জন এরমধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশী,শিশু ওয়ার্ডে নিমোনিয়া সহ অন্যান্য রোগে ৫৭ জন ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিমোনিয়ায় ১০জন ও ডায়রিয়ায় ২০ জন আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এ অবস্থায় সময়মত কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবি মানুষেরা। এতে করে কিছুটা বিলম্বিত হয়ে পড়ছে বোরো আবাদ।
স্থানীয় কৃষি আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র জানায়, জেলার উপর ঘন কুয়াশার মেঘ থাকায় সুর্য্য উত্তাপ ছড়াতে পারছে না। বুধবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন