উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষসহ পশুপাখি। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠাণ্ডায় বিশেষ কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না অনেকেই। শীতের কারণে চলতি মৌসুমের বোরো রোপনের কাজ এখনো শুরু হয়নি।
অত্যধিক ঠান্ডার কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার সকল হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়ছে। কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় রোটা ভাইরাস ও নিমোনিয়ায় ২৫ জন শিশু এবং ৬জন বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদিকে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত রাতে রৌমারীর যাদুর চর ইউনিয়নের ভোলার চর সরকার পাড়ার হাসান আলীর ৯ মাসের শিশু সন্তান আতিকুল মারা গেছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্র জানায়, শনিবার সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে কুড়িগ্রাম জেলা পূর্ণবাসন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা জানান, কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলায় শীতার্তদের জন্য ৬৪হাজার কম্বল, ২হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট এবং ১হাজার ৫০০ শিশু পোষাক বিতরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন