মাগুরা পৌরসভার শিমুলিয়ায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে পানি শোধনাগার। পানি শোধনাগারের পাশেই রয়েছে পৌর এলাকার বর্জ্য ফেলার জায়গা। এতে পানি দূষিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। মাগুরা-যশোর সড়কের পাশে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে পানি শোধনাগারের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে, শেষ হয় ২০১৯ সালে। ২০১৯ সালের মে মাস থেকে এই প্রকল্পের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। গত ৮ জানুয়ারি প্রকল্পটি পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এখান থেকে পৌরসভার ৪, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদিন দুই ধাপে ১০ ঘণ্টা পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পানি শোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে পৌর এলাকার সকল বর্জ্য ফেলার জায়গা সংলগ্ন এলাকায়। ফলে পচা দুর্গন্ধে এলাকাবাসী রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। তাছাড়া ময়লার গন্ধে খাবারের সন্ধানে পাখি, কুকুর, শুকরের রয়েছে অবাধ বিচরণ। ফলে উড়ন্ত পাখির বিষ্ঠা ও বাতাসে পানি অতি সহজেই দূষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা পানি ব্যবহারকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এলাকাবাসী জানান, পানির বিশুদ্ধতার বিষয়টি না জেনেই বাধ্য হয়ে দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করছে তারা। অনেকে এ পানি শুধু ব্যবহারিক কাজে লাগান এবং খাবারের জন্য টিউবওয়েলের পানি পান করে থাকেন। তারা আরও জানান, ময়লার ভাগাড় থেকে অনেক সময় পাখি উড়ে এসে আবর্জনা খায়, আবার ঠোঁটে করে পানি শোধনাগারের উপর দিয়েও নিয়ে যায়। যা মাঝে মাঝে পড়েও যায় পানিতে। অচিরেই এটা সরানো না হলে অনেকেই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ ইনকিলাবকে জানান, এ প্রকল্পের মাধ্যমে এই এলাকার মানুষ পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্তি পাবে। পানিতে পূর্বে যে পরিমাণ আয়রন ছিল তা আর থাকবে না। তবে ময়লার বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন