গেরুয়া শিবিরের প্রতি যেন ক্রমশই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন চন্দ্র কুমার বসু। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ সভাপতি তথা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রপৌত্র দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যে তিনি নেতাজির আদর্শে চলা রাজনৈতিক পথে হাঁটতে পারছেন না। পাশাপাশি তিনি আরও বিস্ফোরক হয়ে বলেন যেভাবে সিএএ প্রসঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে তার মনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তার সমাধান না হলে আদৌ বিজেপিতে তিনি থাকবেন কিনা সে বিষয়ে ভাববেন। এর আগেও নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় টুইট করে চন্দ্র বসু লেখেন, ‘ভারত এমন একটি দেশ যেখানে সব ধর্মের মানুষই থাকতে পারেন’।
সিএএ নিয়ে এবার তিনি বললেন, ‘আমাদের কাজ হল মানুষকে বোঝানো যে আমরা সঠিক আর ওঁরা ভুল। তবে এটা বোঝাতে গিয়ে কোনওভাবেই অশালীন হওয়া যাবে না। শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বলেই আমরা সন্ত্রাসের রাজনীতি করতে পারি না। আমাদের মানুষের কাছে যেতে হবে সিএএর সুবিধার কথা বোঝাতে’।
চন্দ্র কুমার বসু প্রথমে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে কথা বললেও পরে বলেন ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে প্রয়োজনে নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি বিজেপির প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সর্বজনীনতার নীতি সব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমি যখন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম, তখন আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তৎকালীন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে এই কথাই বলেছিলাম। তারাও এই বিষয়ে একমত হয়েছিলেন’।
এরপরেই চন্দ্র বসু বলেন, ‘তবে এখন আমি অনুভব করেছি যে আমি নেতাজির নীতি অনুসরণ করতে পারছি না। আর এরকমই যদি চলতে থাকে তবে আমাকে এই দলে থাকার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। তবে নরেন্দ্র মোদিজির সঙ্গে কথা না বলে আমি কোনও সিদ্ধান্ত নেব না’।
এর আগেও দেখা গেছে, চন্দ্র কুমার বসু দলের নীতি থেকে সরে এসে অনেক বিষয়ে নিজের বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করেছেন। সিএএ নিয়েও সমালোচনা করতে দেখা গেছে তাঁকে। এমনকি দেশের মুসলিম সম্প্রদায়কেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের-এর আওতায় আনার আহŸান জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি একথাও বলেন যে মানুষকে ভয় দেখিয়ে কোনও আইন প্রয়োগ করা যায় না। সূত্র : এনডিটিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন