সিলেট নগরীর আরামবাগ এলাকা থেকে ৯ জঙ্গীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের একদল সদস্য এই অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করতে সমর্থ হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে আসা এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের একটি চৌকস দল সিলেটে এসে এ অভিযান পরিচালনা করে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মাহিদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ। আটককৃতরা সবাই আল্লার দলের সদস্য। আটককৃত ৯ জনের মধ্যে ৪ জন সিলেটের আর ৫ জন বগুড়া থেকে সিলেটে এসে অবস্থান করেছিলেন বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। আটককৃতরা হলেন- বগুড়ার আব্দুল মান্নান আখন্দের ছেলে মানিক আখন্দ, নোয়াখালির আবুল কালামের ছেলে জহির উদ্দিন বাবর, সিলেটের জকিগঞ্জের মখদ্দস আলীর পুত্র রাসেল আহম্মদ, একই এলাকার মুক্তাদির মিয়ার পুত্র কামাল আহমদ, কুমিল্লার আব্দুল আলীর পুত্র আবুল কালাম আজাদ, সুনামগঞ্জের আব্দুল আজিজের পুত্র তমি উদ্দিন সুমন, রাজশাহীর কায়েম উদ্দিনের পুত্র আশরাফুল ইসলাম, সিলেটের টুকেরবাজারের আব্দুস সালামের পুত্র জুয়েল আহম্মেদ, রাজশাহীর কায়েম উদ্দিনের পুত্র আশরাফুল ইসলাম ও সিলেটের গোলাপগঞ্জের আলাউদ্দিনের পুত্র স্বপন আহম্মেদ। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১৬ হাজার টাকা ও কিছু লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আটককৃত ‘আল্লাহর দলের’ সদস্যরা এখানে অবস্থান করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো। তবে কি ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো তা এখনো জানা যায়নি বলে জানানো হয়। এদের সাথে আর কারো যোগসূত্র আছে কি না তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে চাকরিজিবী ও এনজিও কর্মকর্তাও আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন