বিভিন্ন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে রাস্তাঘাট, রেললাইন, বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ করা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বনবিভাগের অনুমতি নেয়নি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এখন সেগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। নির্মিত এবং নির্মাণ চলমান এসব অবকাঠামোয় বনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রথমে নিরূপণ করবে বন বিভাগ। এরপর সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইবে তারা। সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
ওই বৈঠকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় কী পরিমাণ রাস্তাঘাট ও বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ করেছে, তার তথ্য তুলে ধরা হয়। তবে, সংরক্ষিত বনে কী পরিমাণ রেললাইন রয়েছে, সেই তথ্য ওই বৈঠকে আসেনি।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত বনের ভেতর রাস্তাঘাট, রেল লাইন ও বিদ্যুতের লাইন নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। কী পরিমাণ হয়েছে তার একটি তথ্য আমরা নিয়েছি। আমাদের একটি উদ্বেগের বিষয় যে পরিমাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে তাতে বন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের যে ক্ষতি হয়েছে, তা অ্যাসেসমেন্ট করব। আমরা সংশ্লিষ্টদের কাছে তার ক্ষতিপূরণ চাইব।
সংসদীয় কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে- চট্টগ্রামের হাজারীখিল সংরক্ষিত বনের ভেতরে ৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। লিঙ্করোড হতে টেকনাফ সড়কের দুপাশে সড়ক ও জনপদ রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর মৌজার ইয়াংছা হতে জিদ্দাবাজার পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকা (সওজ) করা হচ্ছে। মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনভ‚মির মধ্য দিয়ে অনুমোদন ছাড়াই আলীকদম-পোয়ামুহুরী পর্যন্ত ৩৭.৫০ কি.মি দৈর্ঘ্য ও ৯.৮ মিটার প্রস্থের দুই লেন রাস্তা নির্মাণ চলছে। বান্দরবানের সাঙ্গু সংরক্ষিত বনের মধ্য দিয়ে থানচি-রেমাক্রি-মদন-লিকরী ৪০-৪৫ কি.মি সড়ক নির্মাণ চলছে। গাজীপুর সদর, জয়দেবপুর ও শ্রীপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে ৫৬ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন