উত্তর : অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো অনেক সওয়াবের কাজ। এটা অন্যতম একটি ইবাদতও বটে। কুরআন কারিমে এরশাদ হয়েছে- তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি তথা তার আহবানে সাড়া দিয়ে দরিদ্র, এতিম ও বন্দিদের খাদ্য দান করে। (সূরা দাহর : ৮)। আল্লাহ আরও এরশাদ করেন-তাদের (বিত্তশালী) ধনসম্পদে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে। (সূরা জারিয়াত : ১৯)। হাদিসে হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরো বলেছেন, ‘তোমরা ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজখবর নাও, বস্ত্রহীন লোকদের বস্ত্র দাও এবং বন্দিকে মুক্ত করে দাও। (সহিহ বুখারি)। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন-ব্যক্তির সেবা করো এবং বন্দিকে মুক্ত করো অথবা ঋণের দায়ে আবদ্ধ ব্যক্তিকে ঋণমুক্ত করো। (বুখারি)। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন-হে বনি আদম, যদি উদ্বৃত্ত অর্থ দান করো, তাহলে ভালো হবে আর আটকে রাখলে ক্ষতি হবে। (আবু দাউদ)। হজরত রাসূল (সা.) বলেছেন-বান্দা যতক্ষণ তার ভাইকে সাহায্য করে, আল্লাহ ততোক্ষণ বান্দাকে সাহায্য করে থাকেন। (সহিহ মুসলিম)। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়াতে মানুষকে খাদ্য দান করেছে, কেয়ামতের দিন তাকে খাদ্য দান করা হবে। যে আল্লাহকে খুশি করার জন্য মানুষকে পানি পান করিয়েছে, তাকে কেয়ামতের দিন পানি পান করানো হবে’। (আবু দাউদ)। হজরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেন-নিশ্চয়ই আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন, যে তার বান্দাদের প্রতি দয়া করে। (বুখারি)। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন-তোমরা পৃথিবীবাসীর প্রতি দয়া করো। আকাশের মালিক আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। (মুসতাদরাক)। হজরত রাসূল (সা.) আরো বলেন-যে ব্যক্তি দুনিয়াতে অপরের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন। (সহিহ মুসলিম)। পরিশেষে বলা যায়-অসহায়দের সেবা, সাহায্য-সহযোগিতা করা অনেক সওয়াবের কাজ। আল্লাহপাক আমাদের সামর্থ্যের ভিত্তিতে তাদের পাশে দাঁড়ানোর তাওফিক দান করুন।
উত্তর দিচ্ছেন : এহসান বিন মুজাহির
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন