মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘রিলিফ ভাস্কর্য’ প্রতিকৃতি উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু পাঠাগার, হল মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। হলের দ্বিতীয় তলায় বঙ্গবন্ধু পাঠাগারের সামনের দেয়ালে দৃষ্টিনন্দন এই রিলিফ ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান আনুষ্ঠানিকভাবে হলের এ উন্নোয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্র ও হলের আবসিক শিক্ষার্থী তাপস কুমার মÐল বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিনন্দন এই রিলিফ ভাস্কর্যটির প্রতিকৃতি তৈরী করেন। বঙ্গবন্ধুর এই দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটি তৈরী করার পুরস্কার স্বরুপ অনুষ্ঠানে এই নবীন শিল্পীকে হলের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের আলোকিত মানুষ হতে হবে। তবে আলোকিত তারাই যাদের দ্বারা অপকার দূর হয়ে যায়, অন্ধকার দূর হয়ে যায়। আলো যেমন সরল পথে যায় তেমনি যারা উচ্চ শিক্ষিত, জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবাণ, বিচক্ষণ তারাই আলোর মতো সরল রেখায় চলে, সত্যকে মেনে নেয়। তিনি বলেন, তোমরা সত্যকে মেনে নাও, সত্যকে স্বীকার করতে শিখ। বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্বকে অস্বীকার করা মানে দেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা, বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করা মানে নিজের অস্তিত্বের সাথে প্রতারণা করা। তিনি বলেন, তরুণরাই পারে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, তাই বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে তরুণ শিক্ষকদের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যাতে তারা উদ্যোমের সাথে, দক্ষতা ও যোগ্যতা সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে লতিফ হল তার পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন।
হলের আবাসিক শিক্ষক ও আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ছালেকুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ^বিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, রহমতুন্নেছা হলের প্রভোষ্ট প্রফেসর রুকসানা বেগম ও প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হল প্রাধ্যক্ষ ড. একরাম হোসেন হলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিবরণ তুলে ধরা ছাড়াও হলকে কিভাবে আরো উন্নয়নমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত করা যায় সেই বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।
হলের সার্বিক উন্নয়ন বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ ড. একরাম হোসেন বলেন, আমাকে হলের দায়িত্ব দেবার পর থেকে হলের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে ভিসি স্যারকে অবহিত করি। স্যার আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন এবং এখন পর্যন্ত হলের উন্নয়নমূলক কাজকে চলমান রেখেছেন। এছাড়াও হলের আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক সহযোগিতার ফলে হলের বাকীকাজগুলো সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি। আমার বিশ্বাস, নবাব আব্দুল লতিফ হল শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে খেলাধূলা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও মননশীল কর্মকান্ডের মাধ্যমে দক্ষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখতে পারব।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. জাহিদুল ইসলাম, আমীর আলী হল প্রভোস্ট ড. আমিনুল ইসলামসহ হলের আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় তিন শতাধীক শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন