সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির দশ বছর অতিক্রম করে একাদশ বছর পার হলেও উন্নীত বেতনস্কেল বঞ্চিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এসব শিক্ষকরা পদোন্নতির ১১ বছর পার করলেও বেতন বিভাজনের জায়গায়ই রয়েছেন।
জানা যায়, আদালতে মামলা হওয়ার আগেই ২০০৯ সালের প্রথমদিকে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পান কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আবদুল জলিল ভ‚ইয়া, জিরুইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নজরুল ইসলাম, নাইঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোহাম্মদ হোসেন, ডগরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাসিমা আক্তার, গোপাল নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেলিনা আক্তার, বাগরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শাহানা আক্তার, পৌমকারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেহেরুননেসা এবং সদর উপজেলার মনোহরপুর সরকারি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালেহা আক্তারসহ কুমিল্লার আরো বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তারা প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রায় ১১ বছর হলেও তাদের ভাগ্যে জুটেনি উন্নীত বেতন স্কেল। সহকারি শিক্ষকের বেতনেই চলছে তাদের দিনকাল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার জেঠুয়ামুড়া, বুগীর, আড়াইবাড়ি, জগৎপুর, জমশ্বেরপুর, বর্ণি ও বিশাড়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক থেকে পদোন্নতির দশ বছর অতিক্রম করে প্রধান শিক্ষকরা উন্নীত স্কেলে বেতন ভোগ করছেন। কেবল তাই নয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা মূল বেতনের সাথে দায়িত্বভার ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকাও পাচ্ছেন। আবার ২০১০ সালে সৃষ্ট প্রধান শিক্ষক পদে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা ২০১৩ সালে জাতীয়করণ অন্তর্ভূক্ত হয়ে বর্তমানে উন্নীত স্কেলে বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু কুমিল্লার পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা উন্নীত স্কেলে কেনো বেতন মিলছে না তার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কুমিল্লা সদরের মনোহরপুর সরকারি আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালেহা আক্তার বলেন, কেবল ব্রাহ্মণপাড়াতেই নয়, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সর্বশেষ ২০০৯ সালে পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকদের অনেকেই উন্নীত স্কেলে বেতন পাচ্ছেন না। আবার অনেকে পাচ্ছেন।
বেতন নিয়ে এধরণের বিভাজন আমরা চাইনা। আমরা যারা সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছি তাদের বিষয়ে হাইকোর্ট থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত স্কেলে বেতন নির্ধারণের জন্য আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। আগামী ৬ মার্চ ঢাকায় সমিতির সভা করে রায় বাস্তবায়নসহ অন্যান্য বিষয়ের উপর আলোচনা করে কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন