স্বামীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় স্ত্রীকে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর-৩ এর বিচারক সোমবার এ রায় দেন। পুরুষ নির্যাতনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে শাহরাস্তি উপজেলার বানিয়াচোঁ গ্রামের খন্দকার মো. মনির হোসেনের দায়ের করা ২০১৮ সালের যৌতুক আইনের ৩ ধারায় মামলায় তার স্ত্রী মিনোয়ারা বেগমকে জেলে প্রেরণ করা হয়। মিনোয়ারা বেগম কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ইমান আলীর মেয়ে।
জানা যায়, আসামি মিনোয়ারা বেগম যৌতুকের জন্য তার স্বামীর সাথে সব সময় খারাপ আচরণ করতো এবং সে বেপরোয়া জীবনযাপনে অভ্যস্ত । ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে পালিয়ে গিয়ে জনৈক নাজমুল হকের সাথে অবৈধভাবে বসবাস করে। ৭ মাস পর বাদিকে তালাক দিয়ে এবং তালাকের তথ্য গোপন রেখে পুনরায় সংসারে ফিরে আসে। এ সময়ে নানাভাবে চাপ দিয়ে দেনমোহর বাড়িয়ে পুনরায় কাবিননামা করে ।
কিছুদিন পর মিনোয়ারা বেগম পুনরায় যৌতুক দাবি করে তার আত্মীয় স্বজনসহ বাদিকে প্রতিনিয়ত শারীরিক মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। আসামি মোবাইল ফোনে বাদির কাছে যৌতুক দাবি করে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। ২০১৯ সালের ৯ জুন তার পিত্রালয়ে চলে যায় ।
স্বামী খন্দকার মো. মনির হোসেন উপায়ান্তর না পেয়ে মামলা দায়ের করলে আমলি আদালতের বিচারক শাহরাস্তি থানাকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেন। শাহরাস্তি থানার ওসি তদন্ত শহিদুল ইসলাম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আসামি মিনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে সমন জারি করলে আদালতে জামিন নিতে আসলে বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন