নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন, আলোচনা সভা, ফেস্টুনসহ ১০০টি বেলুন উড়ানো, ১০০ পাউন্ডের কেক কাটা, সঙ্গীতানুষ্ঠান প্রভৃতি কর্মসূচি পালিত হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষির্কী উপলক্ষে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ঢাবিতে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ (মরণোত্তর) ডিগ্রি’ প্রদান করা হবে জানিয়েছেন ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান।
সকালে ঢাবি ভিসির নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পু®পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে ভিসির সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতি চিরন্তন প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এসব কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাবি প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, ডাকসু’র ভিপি মো. নুরুল হক, এজিএস মো. সাদ্দাম হোসেনসহ অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন। রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান সভা পরিচালনা করেন।
ঢাবি ভিসি জাতির জনকের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, বছরব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাবিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ঢাবিতে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ (মরণোত্তর) ডিগ্রি’ প্রদান করা হবে।
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যগণ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টি’ প্রতিষ্ঠা, আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন, প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে বলে ভিসি উল্লেখ করেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও হোস্টেলসমূহে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন